প্রকৌশলীদের মিলনমেলা

চাকুরী, সমস্যা, সমাধানযাত্রা স্লোগান নিয়ে দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত ব্রান্ডিং প্রতিষ্ঠান “এক্সিলেন্স বাংলাদেশ” শুক্রবার আয়োজন করেছিলো “ক্যারিয়ার ইন সিভিল ইন্জিনিয়ারিং ২০১৮”। প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই তাদের স্বকীয়তা বজায় রেখেছে।

দিনের শুরুতে আয়োজনের উদ্বোধন করেন প্রাইভেট সেক্টর ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার্স ফেডারেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক জামাল হোসেন নাহিদ। এসময় স্বাগত বক্তব্যে এক্সিলেন্স বাংলাদেশের সিইও বেনজির আবরার বলেন, ” পড়াশোনার সাথে মিল রেখে ক্যারিয়ার গড়ায় তরুণদের আরো মনোযোগী হবার জন্যই এই আয়োজন, আয়োজনটিতে সারাদেশ থেকে আসা তরুণরা তার সেক্টরের কর্পোরেট বসদের সরাসরি মেন্টরিং পাবেন।”

এরপর প্রথম প্যানেল ডিসকাশনের বিষয়বস্তু ছিলো, ” সিভিল ইন্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের চাকুরী জীবনে প্রবেশের সূত্রাবলি”। এই সেশনটি সঞ্চালনা করেন এক্সিলেন্স বাংলাদেশের ব্রান্ড ম্যানেজার রিয়াজ হোসাইন। প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন ক্রাউন সিমেন্টের সিইও মাসুদ খান, স্টার সিরামিকসের হেড অফ এইচআর হাসান আকন্দ, প্রভিটা গ্রুপের হেড অফ এইচআর জাহাঙ্গীর নবী, পান্ডুঘর গ্রুপের ডিজিএম এসএম আহবাবুর রহমান, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের হেড অফ মোবাইল বিজনেস মুহাম্মাদ তৌফিকুল ইসলাম।

সেশনটিতে আলোচকরা বলেন, “ক্যারিয়ার হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনেকের কাছে পছন্দের একটি খাত। এই খাতে কাজের সুযোগ ও পরিধি বাড়ছে আগের সময় থেকে অনেক বেশি। তবে সিভিল ইঞ্জিনিয়াইং এ সফল ক্যারিয়ার গড়তে হলে চাই দক্ষতা। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষতা অর্জনে পড়াশুনার বিকল্প কিছু নেই।

প্যানেলিস্টরা আরো বলেন, “দেশে উন্নয়নমূলক কার্যপরিচালনার পাশাপাশি মফস্বল এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ভবন। সেই সাথে সরকারি বড় বড় প্রকল্প যেমন মেন্ট্রোরেল, মহাসড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবন নির্মাণে সামনে আরও দক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা বাড়বে।”

এসময় দেশের বাইরে থেকে আসা প্রকৌশলীরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং কর্পোরেটের এই সফল মানুষরা তাদের উত্তর দেন এবং সাধুবাদ জানান।

এরপর “হ্যাক অন ইউর ড্রিম জব” শীর্ষক একটি সেশন পরিচালনা করেন ইগলু আইসক্রিমের সিইও, কর্পোরেট কোচের ফাউন্ডার কামরুল হাসান। তার দূরদর্শী চিন্তা আর দুর্দান্ত বাচনভঙ্গি শিক্ষার্থীদের অনেক প্রশ্নের অবসান করে দেয়। দুপুরের পর এই ইন্ড্রাস্টির অতীত, বর্তমান এবং ভবিষৎ নিয়ে একটি বিস্তারিত সেশন নেন জনপ্রিয় কনসালটেন্সী ফার্ম “শার্পনার” এর সিইও নজর ই জিলানী।

দ্বিতীয় প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নেন বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার তানিয়া জাহিদ, দৈনিক মানবকন্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক নাজমুল হক ইমন, শান্তা হোল্ডিংস এর চিফ ইন্জিনিয়ার শাখাওয়াত হোসেন, স্যাম্মনি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মহিউদ্দিন সেলিম।

বক্তারা বলেন, ‘পড়াশুনার পাশাপাশি বাস্তবিক শ্রমের বিনিময়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমাদের দেশে প্রতি বছর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারস প্রায় সব খাতেই অনেক মেধাবী মুখ বেরিয়ে আসলেও চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তারা নিজেকে প্রমাণ করতে পারছে না। এটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। প্রকৃত মেধাবীর অভাবে অনেক ক্ষেত্রে বিদেশীদের চাকরি দিতে হচ্ছে। যা কাম্য নয়।’ তারা আরো বলেন,
সবধরণের পেশার সাথেই সাংবাদিকতার সম্পর্ক আছে। কোন ব্যক্তি যে পেশাতেই থাকুন না কেন সে পার্টটাইম করে হলেও সাংবাদিকতায় আসতে পারেন। কলামসহ বিভিন্ন ধরণের আর্টিকেল লিখতে পারেন। আমাদের দেশে অবকাঠামোগত বিভিন্ন স্থাপনায় প্রায়ই আমরা ত্রুটি দেখি আর তা নিয়ে প্রতিবেদন করি। আগামী দিনগুলোতে যদি দক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বের হয়ে আসে তাহলে দেশের অবকাঠামো আরও উন্নত হবে”।

আয়োজনটির পার্টনার ছিলো লিডসাস গ্লোবাল এ্যাকশন, শার্পনার, সেলস এম্বাসেডর বিডি, এইচআর মার্ট বিডি। মিডিয়া সহযোগী ছিলো দৈনিক শেয়ারবিজ, পিপলস রেডিও৯১.৬ এফএম, ক্যারিয়ারকেয়ার.কম। ফটোগ্রাফি সহায়তায় ছিলেন কানন মাহমুদুল ফটোগ্রাফি।
প্রকৌশলীদের মিলনমেলা……

Post MIddle

চাকুরী, সমস্যা, সমাধানযাত্রা স্লোগান নিয়ে দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত ব্রান্ডিং প্রতিষ্ঠান “এক্সিলেন্স বাংলাদেশ” শুক্রবার আয়োজন করেছিলো “ক্যারিয়ার ইন সিভিল ইন্জিনিয়ারিং ২০১৮”। প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই তাদের স্বকীয়তা বজায় রেখেছে।

দিনের শুরুতে আয়োজনের উদ্বোধন করেন প্রাইভেট সেক্টর ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার্স ফেডারেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক জামাল হোসেন নাহিদ। এসময় স্বাগত বক্তব্যে এক্সিলেন্স বাংলাদেশের সিইও বেনজির আবরার বলেন, ” পড়াশোনার সাথে মিল রেখে ক্যারিয়ার গড়ায় তরুণদের আরো মনোযোগী হবার জন্যই এই আয়োজন, আয়োজনটিতে সারাদেশ থেকে আসা তরুণরা তার সেক্টরের কর্পোরেট বসদের সরাসরি মেন্টরিং পাবেন।”

এরপর প্রথম প্যানেল ডিসকাশনের বিষয়বস্তু ছিলো, ” সিভিল ইন্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের চাকুরী জীবনে প্রবেশের সূত্রাবলি”। এই সেশনটি সঞ্চালনা করেন এক্সিলেন্স বাংলাদেশের ব্রান্ড ম্যানেজার রিয়াজ হোসাইন। প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন ক্রাউন সিমেন্টের সিইও মাসুদ খান, স্টার সিরামিকসের হেড অফ এইচআর হাসান আকন্দ, প্রভিটা গ্রুপের হেড অফ এইচআর জাহাঙ্গীর নবী, পান্ডুঘর গ্রুপের ডিজিএম এসএম আহবাবুর রহমান, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের হেড অফ মোবাইল বিজনেস মুহাম্মাদ তৌফিকুল ইসলাম।

সেশনটিতে আলোচকরা বলেন, “ক্যারিয়ার হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনেকের কাছে পছন্দের একটি খাত। এই খাতে কাজের সুযোগ ও পরিধি বাড়ছে আগের সময় থেকে অনেক বেশি। তবে সিভিল ইঞ্জিনিয়াইং এ সফল ক্যারিয়ার গড়তে হলে চাই দক্ষতা। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষতা অর্জনে পড়াশুনার বিকল্প কিছু নেই।

প্যানেলিস্টরা আরো বলেন, “দেশে উন্নয়নমূলক কার্যপরিচালনার পাশাপাশি মফস্বল এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ভবন। সেই সাথে সরকারি বড় বড় প্রকল্প যেমন মেন্ট্রোরেল, মহাসড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবন নির্মাণে সামনে আরও দক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা বাড়বে।”

এসময় দেশের বাইরে থেকে আসা প্রকৌশলীরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং কর্পোরেটের এই সফল মানুষরা তাদের উত্তর দেন এবং সাধুবাদ জানান।

এরপর “হ্যাক অন ইউর ড্রিম জব” শীর্ষক একটি সেশন পরিচালনা করেন ইগলু আইসক্রিমের সিইও, কর্পোরেট কোচের ফাউন্ডার কামরুল হাসান। তার দূরদর্শী চিন্তা আর দুর্দান্ত বাচনভঙ্গি শিক্ষার্থীদের অনেক প্রশ্নের অবসান করে দেয়। দুপুরের পর এই ইন্ড্রাস্টির অতীত, বর্তমান এবং ভবিষৎ নিয়ে একটি বিস্তারিত সেশন নেন জনপ্রিয় কনসালটেন্সী ফার্ম “শার্পনার” এর সিইও নজর ই জিলানী।

দ্বিতীয় প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নেন বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার তানিয়া জাহিদ, দৈনিক মানবকন্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক নাজমুল হক ইমন, শান্তা হোল্ডিংস এর চিফ ইন্জিনিয়ার শাখাওয়াত হোসেন, স্যাম্মনি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মহিউদ্দিন সেলিম।

বক্তারা বলেন, ‘পড়াশুনার পাশাপাশি বাস্তবিক শ্রমের বিনিময়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমাদের দেশে প্রতি বছর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারস প্রায় সব খাতেই অনেক মেধাবী মুখ বেরিয়ে আসলেও চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তারা নিজেকে প্রমাণ করতে পারছে না। এটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। প্রকৃত মেধাবীর অভাবে অনেক ক্ষেত্রে বিদেশীদের চাকরি দিতে হচ্ছে। যা কাম্য নয়।’ তারা আরো বলেন,

সবধরণের পেশার সাথেই সাংবাদিকতার সম্পর্ক আছে। কোন ব্যক্তি যে পেশাতেই থাকুন না কেন সে পার্টটাইম করে হলেও সাংবাদিকতায় আসতে পারেন। কলামসহ বিভিন্ন ধরণের আর্টিকেল লিখতে পারেন। আমাদের দেশে অবকাঠামোগত বিভিন্ন স্থাপনায় প্রায়ই আমরা ত্রুটি দেখি আর তা নিয়ে প্রতিবেদন করি। আগামী দিনগুলোতে যদি দক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বের হয়ে আসে তাহলে দেশের অবকাঠামো আরও উন্নত হবে”।

আয়োজনটির পার্টনার ছিলো লিডসাস গ্লোবাল এ্যাকশন, শার্পনার, সেলস এম্বাসেডর বিডি, এইচআর মার্ট বিডি। মিডিয়া সহযোগী ছিলো দৈনিক শেয়ারবিজ, পিপলস রেডিও৯১.৬ এফএম, ক্যারিয়ারকেয়ার.কম। ফটোগ্রাফি সহায়তায় ছিলেন কানন মাহমুদুল ফটোগ্রাফি।

পছন্দের আরো পোস্ট