স্কুল যেতে সাঁকো পাড়ি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের বহরবৌলা গ্রামের দেড় কিলোমিটার রাস্তা বলেশ্বর নদীতে বিলীন হওয়ায় স্কুল-কলেজগামী ছাত্র ছাত্রী সহ এলাকাবাসিকে সাঁকো বানিয়ে রাস্তা পারপার হতে হয়। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের। বিলীন হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি।
জানা গেছে, উপজেলার বহরবৌলা গ্রামে ৩ হাজারেরও বেশি জনাধারনের বসবাস। এখানে ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬ টি মসজিদ ও ৬টি মন্দির রয়েছে। এছাড়াও সীমান্তবর্তী পিরোজপুর জেলা শহরের সরকারি মহিলা কলেজ ও বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বনগ্রাম সেঞ্চুরি ইনষ্টিউট, পুটিয়া গালর্স মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ গ্রামের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়ত করে। বলেশ্বরের ভাঙ্গনে রাস্তা বিলীন হওয়ায় আমাবশ্যার জোয়ারে পানিতে তলিয়ে যায় বহরবৌলা গ্রামের প্রতিটি বসতঘর।
স্থানীয় শিক্ষক মনি শংকর ঢালী, বিষ্ণু ভট্টাচার্য্য, ব্যবসায়ী সুমন শেখ, শংকর রায়, কলেজ ছাত্রী শতাব্দী মন্ডলসহ একাধিক বাসিন্দা জানান, প্রতিদিন চলাচলের জন্য ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় গাছের সাকো তৈরী করা হচ্ছে। ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুভাষ চন্দ্র মল্লিক বলেন, প্রায় ১ যুগ আগে রাজবাড়ি থেকে বহরবৌলা হয়ে পাশ্ববর্তী কচুয়া থানা অভিমুখী এই ইট সোলিংয়ের রাস্তাটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিলো। ২০০৭ সালে সিডর পরবর্তীতে রাস্তাটি নর্দী গর্ভে বিলীন হতে থাকে। প্রতিবছরই ভাঙ্গছে নতুন এলাকা। স্থানীয়রা মনে করেন, গ্রামটি রক্ষার্থে দেড় কিলোমিটার ভেড়িবাধ নির্মাণ জরুরি।
বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রিপন দাস বলেন, বহরবৌলা গ্রামের ভাঙ্গন রক্ষার্থে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে বাগেরহাট-৪, সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কোন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গৃহিত হয়নি।