জবি জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ সমিতির আনন্দ ভ্রমণ

ব্যস্ততায় ঘেরা যান্ত্রিকতার মোড়ানো জীবন থেকে প্রশান্তির ছোঁয়া পেতে প্রকৃতির সন্নিকটে মানুষের ছুটে চলা স্বহজাত। ঐতিহাসিক নিদর্শনের সাথে প্রকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে জ্ঞানার্জনের সাথে প্রশান্তির মাত্রা যেন বহুগুণ বেড়ে যায়।
এই দুইয়ের মেলবন্ধনে ১৫ সেপ্টেম্বর জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ সমিতি,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ওয়ারী বটেশ্বর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মরিচার চরে আনন্দ ভ্রমণ- ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়।
‘সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে নরসিংদীর ওয়ারী বটেশ্বরের উদ্দেশে যাত্রা করে সেখানে পরিদর্শন শেষ হলে নৌকাযোগে আমরা মেঘনা নদীর বুকে জলের কুলকুল শব্দের সাথে দুপুরের খাবার একসংঙ্গে খেয়ে গানে আড্ডায়  মত্ত ছিলাম। এরমধ্যে কখন পৌঁছে যাই শুভ্র আর সবুজের সংমিশ্রণে সুর্যের আলোকরশ্মি বিচ্ছুরণ  করা কাঁশফুল বেষ্টিত  মরিচার চলে খেয়াল ছিলোনা।
Post MIddle
চরের মাঠে ফুটবল খেলার উন্মাদনা আর ক্লান্ত শরীরে মেঘনার জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতার কেটে কায়ামনে প্রশান্তির পরখ আর র‍্যাফেল ড্র তে টানটান উত্তেজনায় একেকটা বিজয়ীর নাম উচ্চারণ। বড়ভাই বোন, বন্ধু বন্ধবী আর ছোট ভাইবোনদের সংস্পর্শে সিলটি আঞ্চলিক ভাষায় আনন্দঘন অভিজ্ঞতায় পরিসমাপ্ত হয় আমাদের আনন্দ ভ্রমন।’ এমনটাই বলছিলেন ভ্রমণে অংশ নেয়া মো. এনামুল হাসান কাওছার।
জবি জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি মোঃ কামরুল হুসাইন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো বৃহৎ আকারে ব্যতিক্রমী একটি আনন্দ ভ্রমণ আয়োজনের লক্ষ্য ছিলো আমাদের।’ সবার আন্তরিক সহযোগিতার আগামীতে বৃহৎ পরিসরে আনন্দ ভ্রমণ আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।আনন্দ ভ্রমণে জবি জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা মো. আব্দুর রহিম কাওছার ও নুরুল আফসার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জালালাবাদ ছাত্র কল্যাণ সমিতি,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এ অধ্যয়নরত বৃহত্তর সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সামাজিক সংগঠন।
পছন্দের আরো পোস্ট