চার দফা দাবি নিয়ে ইবি উপাচার্যের কাছে সিওয়াইবি’র স্মারকলিপি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হল এবং ক্যাম্পাস অভ্যান্তরিন হোটেলগুলোতে খ্যাদ্যের মান বৃদ্ধি ও মূল্য নির্ধারণসহ ৪ দফা দাবি নিয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করছে কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি)। সোমবার বেলা ১২টার দিকে এ স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত দেড় হাজার শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটি।

সূত্র মতে, গত ৪ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ক্যাম্পাসের খাবারের মান ও মূল্য নির্ধারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ সপ্তাহ পালন করে সিওয়াইবি। এসব সমস্যার স্থায়ী প্রতিকারের লক্ষ্যে তারা ১ হাজার ৫৪১ জন শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে। কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি ইমরান শুভ্র স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপিতে উল্ল্যেখ করা হয়েছে, দেশের একটি নামকরা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও আমরা চাহিদা অনুযায়ী গুণগত মানের খাবার পাচ্ছি না।

Post MIddle

প্রতিটি আবাসিক হলের ডাইনিংগুলো নিম্মমানের খাবার পরিবেশন করে। যা আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। ফলে শিক্ষার্থীরা চরম স্বাস্থ্যহীনতার ঝুঁকিতে পড়ছে।

শিক্ষার্থীরা ভালো খাবারের জন্য ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে খাবার হোটেলের দ্বারস্থ হয়। তবে নির্দিষ্ট কোন মূল্য তালিকা না দিয়ে তারা নিজেদের ইচ্ছেমত সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম আদায় করে। যা ভোক্তা অধিকারের সু-স্পষ্ট লঙ্ঘণ। এসব অভিযোগের আলোকে তারা ৪দফা দাবি উত্থাপন করেন।

দাবিগুলো হলো: আবাসিক হলের ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা। সকল হল ডাইনিং ও খাবার দোকানে অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ নিশ্চিত করা। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরিন খাবার হোটেলগুলোতে মূল্য তালিকা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা এবং শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে আবাসিক হল এবং দোকানের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা। স্মারকলিপি জমা দান কালে যুগ্ম-সম্পাদক হুমায়ুন কবির শুভ, শামিমুল ইসলাম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার হোসেন আযাদ, প্রচার সম্পাদক ওয়াহেদ আলী, অর্থ সম্পাদক সাজেদা আক্তার জলি, মিডিয়া সম্পাদক শাহেদুল ইসলামসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট