ইবিতে “বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার কার্যকারীতা” শীর্ষক কর্মশালা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেছেন,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চলেছে যা দৃশ্যমান বাস্তবতা।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আমাদের ঐতিহাসিক চতুর্থ সমাবর্তনে আমরা সাড়ে ৯ হাজার শিক্ষার্থীকে ডিগ্রী প্রদান করেছি। এ সমাবর্তনে প্রায় ১৩ হাজার মানুুষের সমাগম ঘটেছিল যা বিরল । তিনি বলেন, ৮টি বিভাগ খোলা হয়েছে, আরও ৮টি বিভাগ খোলা হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে চারটি বিভাগে প্রায় চারশত ছাত্র নিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল সেই বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান বিভাগ হচ্ছে ৩৩টি। সম্প্রতি আমাদের যে ৫ বছর মেয়াদী অর্গানোগ্রাম পাশ হয়েছে, এটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হলে ২০২১ সালের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ হবে ৫৯ টি, শিক্ষক সংখ্যা হবে ৯৩০ জন, কর্মকর্তা-কর্মচারী হবে ২০৮৩ জন, শিক্ষার্থী হবে ২৫,১১১ জন, অনুষদ হবে ৮টি এবং ইনস্টিটিউট হবে ৩টি। ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে-সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল পরিকল্পনা, সপ্তম-পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, কোয়ালিটি এস্যুরেন্স পরিকল্পনা, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি।

Post MIddle

তিনি বলেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে না। এখানে শিক্ষা এবং গবেষণা দুটি কাজই আমরা করে থাকি। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের ২০১০ সালের জাতীয় যে শিক্ষানীতি এবং তার সাথে সাসটেইনেবল গোল ফর ইকুইটেবল এডুকেশন তার মানে হলো বাংলাদেশের সকল সেক্টরকে সেই উন্নয়নের মাঝে আনতে হবে।

ভাইস চ্যান্সেলর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট, অর্ডিনেন্স, স্ট্যাটিউট সম্পর্কে পড়তে ও জানতে হবে এবং আমাদের সেই আলোকে চলতে হবে। তিনি বলেন, আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তাকে আধুনিক, প্রগতিশীল, বিজ্ঞানমনস্ক ও আইসিটি জ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে চাই। আজকের কর্মশালার মধ্যদিয়ে প্রতিটি কর্মকর্তা আরো দক্ষ হয়ে গড়ে উঠবে এই প্রত্যাশা করি।

অাজ শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আইকিউএসি’র সেমিনার কক্ষে তাদের আয়োজনে দিনব্যাপী “বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার কার্যকারীতা” শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী এসব কথা বলেন।

আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. কে.এম আব্দুস ছোবহানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কর্মশালার মুলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা) জিনাত রেহানা। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিসের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অশংগ্রহণ করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট