গৃহিনী থেকে অধ্যাপক

আমার জন্ম হয় ২৪ শে ফেব্রুয়ারী ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে আমার মামা সলিমুল্লাহ হলের হাউস টিউটর ড. মমতাজউদ্দিন আহমেদের বাসায়। ঝর্ণা ওরফে শাহানারা হোসেন আমার একমাত্র বোন, কোন ভাই নেই। পিতা আবদুল হাফিজ কলকাতায় চাকুরীরত ছিলেন তাই ১৯৪৭ পর্যন্ত আমাদের সেখানেই কাটে। ১৯৪৮-এর জানুয়ারী মাসে আমরা পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় চলে আসি।

দশ বৎসর বয়স পর্যন্ত আমি গৃহেই পড়াশুনা করি। ১৯৪৫-এ আমাকে স্কুলে ভর্তি করানো হয়। ভর্তি পরীক্ষা ভালো হওয়ায় আমাকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে নেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীতে স্কুলে নাম থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং হিন্দু মুসলমান দাঙ্গার জন্য আমাদের স্কুলে যাওয়া হয়নি। ঢাকায় আসার পর আবার ১৯৪৮-এ মুসলিম গার্নাস হাই স্কুলে আমি নবম শ্রেণীতে ভর্তি হই। ভালো ফল করে ১৯৪৯-এ দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হই।

কিন্তু এবার আমার স্কুলে যাওয়ার পালা শেষ হলো। পারিবারিক নানা পরিস্থিতির কারণে সেই বৎসর ১৮ই মে তারিখে অধ্যাপক কাজেমউদ্দিন আহমেদের জ্যেষ্ঠপুত্র নুরুদ্দিন মোঃ সেলিমের সাথে মাত্র চৌদ্দ বৎসর বয়সে আমার বিয়ে হয়ে যায়।

পড়াশুনার ইতি সেখানেই ঘটতে পারতো। কিন্তু আম্মা রাবেয়া খাতুন আমাকে একরকম জোর করেই এস এস সি পরীক্ষা দিতে বাধ্য করেন। স্কুলে প্রতি মাসে বেতন দিয়ে আমার নামটি যেনো কাটা না যায় সে ব্যবস্থা তিনি করেছিলেন। সন্তানসম্ভবা আমি ১৯৫০-এর মে মাসে পরীক্ষা দেই এবং বৃত্তিসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হই।

২১ শে সেপ্টেম্বর আমার একটি কণ্যাসন্তানের জন্ম হয়। সেই সাথে আমার পড়াশুনা করার সুযোগ হ্রাস পায়। ইতোমধ্যে কলকাতা থেকে আমার স্বামী চট্টগ্রামে বদলী হয়ে চলে আসেন। কন্যাসন্তানকে নিয়ে সেখানেই ঘরকন্না শুরু হয়। এরপর ১৯৫৪-তে স্বামী ঢাকায় বদলী হওয়ায় ঢাকাতেই বাস করতে হয়। তবে ততদিনে আমার আরো দুইটি সন্তানের জন্ম হয়েছে এবং দ্বিতীয় সন্তানটির মৃত্যুও ঘটে। ঢাকায় আসার পর ১৯৬২-র মধ্যে আরো তিনটি সন্তানের জন্ম হয়।

আমি এবার ছয় সন্তানের জননী, সন্তান জন্ম দেয়ার যন্ত্রের মত মনে হয় নিজেকে। সন্তান পরিচর্যা, গৃহ¯া’লী কাজকর্ম ব্যতীত অন্য কিছুতে আমার মন দেবার কোনো অবসরই ছিলো না। এমনকি, আমি নিজেই অবাক হই, ভাষা আন্দোলনের বিষয়টি পর্যন্ত আমার গোচরে আসেনি। এ যেনো এক সন্তান দ্বারা অবিষ্ট মানবী ছিলাম আমি!
সন্তান বেষ্টিত আমি তবুও সেই কিশোরী হাসনার লেখাপড়া করার স্বপ্ন ও অদম্য আকাক্সক্ষার ছবিটি ভুলতে পারিনি।

ক্ষণে ক্ষণে আমার মনে অজানা কারণেই কেমন যেনো এক হতাশার জন্ম হতো। মনে হত এইটুকু গ-ীই আমার জীবন নয়, আরো অনেক অনেক কিছু যেনো প্রতীক্ষা করছে আমার অর্জন করার অপেক্ষায়। এইসব ভাবনা থেকেই একদিন, আমার সর্বকনিষ্ঠ সন্তানটির যখন এক বৎসর বয়স মাত্র, আমার ফুফাতো বোনের অনুপ্রেরণায় সিটি নাইট কলেজে ভর্তি হয়ে গেলাম, এইচ এস সি পরীক্ষার জন্য তৈরী হবার আকাক্সক্ষায়।

সে বছরটা ১৯৬৩। ১৯৫০ থেকে ১৯৬৩ এই ১৩টি বৎসর পর আবার লেখাপড়া শুরু করে বার বার হোচট খেতে থাকলাম। প্রতি লাইনে লাইনে বানান ভুল আর প্রতি কার্যকলাপের মধ্যেই সন্তানদের নিয়ে শঙ্কা আর সংসারের কাজে নানা ভুল-ভ্রান্তি করার এক অসম্ভব ভীতি! কাজকর্মে যেনো অবহেলা না হয় সেইজন্য রাত জেগে জেগে পড়াশুনা করতাম। দিনের বেলাটা তো কেটে যেতো বাচ্চাদের যত্ন করা, হোম ওয়ার্ক করানো আর স্কুল থেকে ড্রাইভ করে আনা নেওয়া করতে করতেই। সন্ধ্যা থেকে রাত নটা দশটা পর্যন্ত ক্লাস করতাম কলেজে।

এই করেও সমস্ত ছাত্রদের মধ্যে নম্বর সবচেয়ে বেশী পেয়ে গেলাম প্রথম বৎসরের পরীক্ষায়! আমি এডিশনাল বিষয় নেইনি পড়ার চাপের ভয়ে। তবুও এতো নম্বর পাওয়ার অধ্যক্ষ ‘লজিক’ নিতে বললেন দ্বিতীয় বৎসরে। এইচ এস সি পরীক্ষায়ও বৃত্তিসহ প্রথম বিভাগে খুব ভালো নম্বর নিয়ে পাস করলাম। এইবার ভর্তি হলাম ১৯৬৫-তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার প্রিয় বিষয় দর্শন নিয়ে। স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় এবং পরের বৎসর স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণী পেয়ে প্রথম হলাম।

সাধারণত এতো ভালো নম্বর পেলে ছাত্রটিকে বিভাগে ফল প্রকাশের সাথে সাথেই লেকচারার পদে শিক্ষক হিসাবে নিয়ে নেওয়া হত। আমার বেলায় দুর্ভাগ্যবশত বিভাগীয় কোনো জটিলতার কারণে তা আর করা হল না। সান্ত¡না পুরস্কার স্বরুপ রিসার্চ ফেলোশীপ দেয়া হল আমাকে। ১৯৭০ থেকে একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামের জন্য সেই সময়টায় এমন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিলো যে কোনো গবেষণা করা সম্ভব হল না।

১৯৭২-এর ফেব্রুয়ারীর ২৫ তারিখে শেষ পর্যন্ত লেকচারার পদে দর্শন বিভাগে নিয়োগ পেলাম। আমি কিন্তু ইতোমধ্যেই বিদেশী নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও স্কলারশীপের জন্য আবেদন করছিলাম। শেষ পর্যন্ত অষ্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে ভর্তির ও স্কলারশীপের জন্য ফর্ম পাঠিয়ে দিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বছর চাকুরী করে পিএইচ ডি ডিগ্রী করার জন্য দশ বৎসরের কনিষ্ঠ কন্যা টোড়িকে নিয়ে ১৩ই এপ্রিল ১৯৭৩-এ মেলবোর্নের পথে যাত্রা করলাম। মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের চেয়ারম্যান প্রফেসর জ্যাকসন এবং তাঁর সেক্রেটারী ইসোবেল রবিন-এর উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমাদের মা ও মেয়ের মন ভরে গেলো। শুরু হল আমার সম্পূর্ণ নতুন এক জীবন, স্বাধীন কিন্তু নানা দায়িত্বে পূর্ণ।

Post MIddle

আমার সুপারভাইজর প্রফেসর ডিএইচ মনরো অত্যন্ত জ্ঞানী ও সংবেদনশীল ব্যক্তি হওয়ায় মোনাশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে কোনো অসুবিধা হয়নি। প্রথম ছয় মাস অবশ্য আক্ষরিক অর্থেই আমাকে প্রতিদিন ১৮ (আঠারো) ঘন্টা করে পড়াশুনা করতে হয়েছে নিজেকে অধিকতর উপযুক্ত করে নিতে। প্রফেসর মনরো আমাকে আমার থিসিসের বিষয়বস্তু নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখতে দিলেন। সেই প্রবন্ধটি লিখতে আমার ছয়টি মাস সময় লাগলো, তবে প্রবন্ধটি প্রফেসরের নিকট মানসম্মত মনে হওয়ায় তিনি থিসিসের চ্যাপ্টারগুলো লেখবার অনুমতি দিলেন। এদিকে আমার স্বামী আমাদের দেখতে এলে তাঁর সাথে ১৯৭৪-এর জানুয়ারী মাসে টোড়ি ঢাকায় চলে গেলো। ওর ভাই বোনদের জন্য ওর মন খারাপ থাকতো বলেই আর আমার সাথে একলা থাকতে চাইলো না।

টোড়ি চলে যাওয়ায় মন খারাপ থেকে নিজেকে বাঁচাতে আমি এবার আরো বেশী করে পড়াশুনায় মনোনিবেশ করলাম এবং থিসিসের কয়েকটি চ্যাপ্টার লেখা ও সেগুলো মানসম্মত হয়েছে সুপারভাইজরের তেমন অনুমোদনও পেয়ে গেলাম। এইবার বাচ্চাদের জন্য ও আব্বা-আম্মাকে দেখার জন্য মন কেমন করতে লাগলো। এক মাসের জন্য ছুটি চাইলাম ঢাকা যাবার জন্য আর পেয়েও গেলাম।

১৯৭৫-এর ফেব্রুয়ারীতে ঢাকায় গেলাম আর বাচ্চাদের ও আব্বা-আম্মা ও স্বামীর সাহচর্যে দিন কাটিয়ে এলাম। ফেরার সময় মনটা এতো খারাপ হয়ে গিয়েছিলো যে প্লেনে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম। ঢাকার অবস্থা ভালো দেখিনি আর যদিও আমার আব্বা ও আম্মা আমার সন্তানদের জন্য যথাসাধ্য করছেন তবুও তাঁরাও যেনো এবার ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি থিসিস শেষ করে ফিরে আসার সংকল্প নিলাম আবারও।

ফিরে এসে থিসিসটা প্রায় শেষ করে ফেললাম। কিন্তু দেশের সবাই তাগিদ দেয়ায় আর আমার পুত্র ও স্বামীর শরীরটা তেমন ভালো না থাকায় ১৯৭৬-এর ফেব্রুয়ারীতে আবার দেশে ফিরতে হলো । ভাড়ার টাকা যোগাড় করলাম চাপাতি বানিয়ে দোকানে দোকানে সাপ্লাই করে। মোনাশের ওভারসীজ স্কলারশীপে প্রতি বৎসর বাড়ী যাওয়া আসার জন্য কোন অনুদানের ব্যবস্থা ছিলো না। কিছু টাকা অবশ্য মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হাওয়েস-এর সাথে কাজ করেও পেয়েছিলাম। এবার সংসারের অবস্থা আরো খারাপ দেখলাম। কিন্তু আমার সেই পন, ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।’-যেটা আরম্ভ করেছি সেটা শেষ করবোই। সুতরাং কিছুটা সামাল দিয়ে আবার ফিরে এলাম মোনাশে।

মন দিয়ে কাজ করছি। থিসিস লেখা প্রায় শেষ। হঠাৎ ভোররাতে স্বপ্ন দেখলাম আমার একমাত্র পুত্র পাগলামী করছে! আমি সকাল বেলা উঠেই মোনাশে গিয়ে ছুটি মঞ্জুর করিয়ে ঢাকার জন্য টিকেট কিনলাম। পরের দিনই রওয়ানা হলাম। ঢাকায় ফিরে দেখি সত্যি সত্যি বাবা আর ছেলে দুজনই অত্যন্ত অসুস্থ। সেটা হল ১৯৭৬-এর জুন মাসে ২৬ তারিখ। ওদের দুজনকে মোটামুটিভাবে সুস্থ করে এবং আমার মেয়েদের আশ্বাসে আমি মোনাশে ঠিক একটি বৎসর পর ফিরে যাবো বলে মনস্থ করলাম। এবার বাদ সাধলো আত্মীয় স্বজন, শ্বশুর বাড়ীর সবাই এবং অনেক পরিচিত জনেরাও।

উপায়ান্তর না দেখে বিভ্রান্ত আমি আমার প্রিয় বেগম সুফিয়া কামাল, আমার ‘বন্ধু দার্শনিক ও পথপ্রদর্শক’ এবং রাজনৈতিক নারীবাদী কর্মীদের নেত্রী, আমাকে সঠিক পথ দেখাতে সমর্থ হবেন এই বিশ্বাসে একদিন সকালে তার বাসা, ৩২নং রাস্তা, ধানম-ি-তে চলে গেলাম। তিনি আমাকে কয়েকটি সঠিক উপদেশ দিলেন : ১ নং উপদেশ: তুমি যাও ও শ্রীঘ্র কাজ শেষ করে ফিরে এসো। ২নং উপদেশ : বিবেচনা করে দেখো যে, আজ তোমার মৃত্যু ঘটলে তোমার পরিবারের সবাই কি মৃত্যুবরণ করবে? দেখো, কারো জন্য জীবন থেমে থাকে না। ৩য় উপদেশ: তুমি সুন্দরী মহিলা।

তুমি যদি ডিগ্রী না করে ফিরে আসো তবে তোমার পরিচিত সকল শিক্ষক, আত্মীয় পরিজন এবং বলতে গেলে সবাই বলবে, ‘পড়তে তো যায়নি হাসনা! ফুর্তি করতে গিয়েছে, ফুর্তি করে ফিরে এসেছে। ওর কি পিএইচডি করার ক্ষমতা আছে?’ এ ছাড়াও আরো অনেক মন্দ ব্যাপারও ঘটতে পারে। তাই বলছি, চোখ কান বেঁধে ফিরে গিয়ে তোমার কাজ শেষ কর। তুমি সফলকাম হবে, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। বেগম সুফিয়া কামালের সাথে কথা বলার পর আমি দৃঢ়তার সাথে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আমি মেলবোর্ন ফিরে যাবো। আমি ১৯৭৭এর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ণ একটি বৎসর পর মেলবোর্ন ফিরে এলাম।

ইতোমধ্যে প্রফেসর মনরো অবসর গ্রহণ করেছেন। আমার নতুন সুপারভাইজর হলেন ত্রিশ বৎসর বয়স্ক প্রফেসর পিটার সিঙ্গার, যিনি বর্তমানে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন খ্যাতমান অধ্যাপক হিসেবে আছেন। তাঁর সাথে কাজ করতে প্রথমটায় একটু অসুবিধা হওয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত পিএইচ ডি ডিগ্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে যোগ দিলাম ২৮ শে এপ্রিল, ১৯৭৮-এ।

এরপর ১৯৮০-তে সহযোগী অধ্যাপক হলাম, ১৯৮৮-তে অধ্যাপক হলাম। এবং ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত বিভাগীয় চেয়ারম্যন ছিলাম। একই সাথে দর্শনের কয়েকটি ধ্রুপদী গ্রন্থ অনুবাদ করেছি বাংলায়, আমার থিসিসটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশ করেছে। প্রবন্ধ লিখেছি। প্রবন্ধ সংকলনও কয়েকটি প্রকাশিত হয়েছে। পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কনফারেন্স, সেমিনার প্রভৃতিতে যোগদান করেছি। অবসর গ্রহণ করেছি ২০০০-এ।

অনারারী অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ দিয়েছিলো ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে। আর আমার সর্বোচ্চ প্রাপ্ত সম্মান হলো দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন দ্বারা ‘রোকেয়া চেয়ার’ পদে মনোনয়ন পাওয়া। যে কিশোরী মেয়ে আমি, স্বপ্নেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল দরোজা পার হয়ে ভেতরে ঢুকতে পারবো বলে ভাবিনি, সেই তেরোটি বৎসর হারিয়ে ফেলেও শেষ পর্যন্ত সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হয়ে গেলাম। গৃহিনী আমি, এই হাসনা বেগম, শিক্ষার বিস্তীর্ণ পথটি অতিক্রম করে বহু শ্রম, অধ্যবসায় ও ত্যাগের বিনিময়ে অধ্যাপক হয়ে নিজের জীবনকে অধিকতর বিস্তৃত করতে হলাম সক্ষম। এ অনেক সাধনার ফল। তৃপ্ত আমার মন আর শান্ত আমার হৃদয়, এই পরম পাওয়া ।

হাসনা বেগম। প্রাক্তন সভাপতি। দর্শন বিভাগ।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

পছন্দের আরো পোস্ট