জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের ২০তম অধিবেশন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের ২০তম অধিবেশন আজ (৩০ জুন) শনিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সিনেটের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।

উপাচার্য তাঁর অভিভাষণে দুই সহস্রাধিক কলেজ অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে শিক্ষা সমাবেশ অনুষ্ঠান ও তাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তী পালন, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ও এভিয়েশন সায়েন্সের মতো নতুন ডিসিপ্লিন খোলা, ২০২২ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক ক্যালেন্ডার ঘোষণা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে টেক্সট বই রচনা, ২০১৭ সালের জন্য কলেজ পারফরমেন্স র‌্যাংকিং, মাস্টারপ্লান বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ, ৩টি স্থায়ী আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণ, আগারগাঁও-এ টাওয়ার ভবন নির্মাণ, কলেজ শিক্ষা মনিটরিং, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ‘মোবাইল এ্যাপস’ তৈরি, ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টারের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয়, সকল কলেজকে হাই কানেক্টিভিটির আওতায় এনে লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গড়ে তোলা, ‘ভাইস-চ্যান্সেলর’স এওয়ার্ড’ প্রবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে এ পর্যন্ত অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শিক্ষার উন্নয়নে সারাদেশে নির্বাচিত কিছুসংখ্যক বেসরকারি কলেজকে মডেল কলেজে উন্নীত করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে ১৫টি কলেজকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ তালিকা আরো সম্প্রসারিত হবে।”

Post MIddle

অধিবেশনে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নোমান উর রশীদ ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের জন্য রাজস্ব ও উন্নয়নসহ মোট ৫০৭ কোটি ২২ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার বাজেট পেশ করেন, যা সিনেট কর্তৃক গৃহীত হয়। এ সিনেট অধিবেশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য প্রফেসর ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, প্রফেসর ড. মশিউর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনসহ মোট ৪৫ জন সিনেট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

অধিবেশনে উপাচার্যের অভিভাষণের ওপর আলোকপাত করে অন্যান্যের মধ্যে প্রফেসর এম. আব্দুস সোবহান (ভাইস-চ্যান্সেলর), অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, জনাব শফিকুর রহমান (সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব), ড. মোছাম্মৎ নাজমুনারা খানুম (বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট), জনাব আবদুল মান্নান (বিভাগীয় কমিশনার), প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর (উপাচার্য), প্রফেসর মাহবুবুর রহমান (মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর), বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্যান্য সদস্য বক্তব্য রাখেন। তাঁরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন।

অধিবেশনে বার্ষিক বাজেট, বার্ষিক প্রতিবেদন, গত অধিবেশনের কার্যবিবরণী, সার্ভিস রুলে কতিপয় সংশোধনী ইত্যাদি পাসের পর সিনেটের সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট