ড্যাফোডিলে সামাজিক সচেতনতা ও আইনী অধিকার বিষয়ক সেমিনার

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে ‘সামাজিক সচেতনতা ও আইনী অধিকার : প্রেক্ষিত নারী’ শীর্ষক এক সেমিনার গতকাল (২ জুন) শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফওজিয়া করিম ফাইরোজ ও বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক সহেলি ফেরদৌস।

এছাড়া সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন আর্টিকেল নাইন-এর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা সালেহ সুলতানা, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. গোলাম মওলা চৌধুরী ও মানবিক ও সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ এম এম হামিদুর রহমান। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী ডিন ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব।

Post MIddle

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অ্যাডভোকেট ফওজিয়া করিম বলেন, প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণে সারা পৃথিবীতেই যৌন হয়রানীর ধরন পাল্টেছে। এখন ই-মেইল, এসএমএস, ইনবক্স, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদির মাধ্যমে নারীরা যৌন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য নারী সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। এজন্য নারী-পুরুষ উভয়কেই সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান অ্যাডভোকেট ফওজিয়া করিম। তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে আইন রয়েছে বাংলাদেশে। তবে আইন দিয়ে সব অপরাধ নির্মূল করা যায় না। এজন্য সামাজিক সচেতনতা জরুরি।

অ্যাডভোকেট ফওজিয়া করিম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তিনটি কারণে সমাজে যৌন হয়রানি বেড়ে যায়। এক. দৃষ্টিভঙ্গি, দুই. সামাজিক প্রেক্ষাপট ও তিন. সাংস্কৃতিক অবক্ষয়। এজন্য সবার আগে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটানো জরুরি বলে মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট ফওজিয়া করিম।

সেমিনারে পুলিশের সহকারি মহাপরিদর্শক সহেলি ফেরদৌস বলেন, যৌন হয়রানি সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকার কারণে সমাজে যৌন হয়রানি বাড়ছে। অনেক পুরুষ যেমন জানেন না তিনি কোন আচরণের মাধ্যমে যৌন হয়রানি করছেন, ঠিক তেমনি অনেক নারীও জানেন না যে তিনি যৌন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। এজন্য যৌন হয়রানি সম্পর্কে জনসচেতনা বাড়ানো জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পুলিশের এই সহকারী মহাপরিদর্শক শিক্ষার্থীদেরকে আইনের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেকোনো কারণে যদি একবার পুলিশের খাতায় নাম যায় তবে তার জন্য চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। বিদেশ যাওয়া বাধাগ্রস্ত হবে। কারণ এসব কাজে এখন পুলিশের ছারপত্র প্রয়োজন হয়। প্রযুক্তিবান্ধব শিক্ষর্থীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আমরা অনলাইনে এমন কিছু যেন শেয়ার না করি যার জন্য ভবিষ্যতে লজ্জিত হতে হয়।
আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

পছন্দের আরো পোস্ট