আমাকে নিয়ে চলচ্চিত্র হবে শুনে ভীত হয়েছিলাম
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক বলেছেন, ‘রাজশাহী থেকে আমার জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করবে শুনে ভীত হয়ে পড়েছিলাম। আমার জীবনটা জ্বল জ্বল করছে, এটা নিয়ে চলচ্চিত্র হবে আমি তো অবাক হচ্ছি। এমন ভালোবাসা আমি রাজশাহীতে পেয়েছি, এটা ছেড়ে আমি কোথাও যেতে পারি না। রাজশাহী আমার জন্মভূমিতে পরিণত হয়েছে।’
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) হাসান আজিজুল হকের জীবন ও কর্ম নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘গল্পলোকের চিত্রকর’ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীর আগে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি গ্রামের ধূলাবালিতে বড় হওয়া এক দরিদ্র পরিবারের ছেলে। আমার বন্ধুরা ছিল রাখাল। এমন একটা ছেলের জীবনে কী-ই বা থাকতে পারে! যা নিয়ে চলচ্চিত্র বানানো যায়।’
অনুষ্ঠানে রাজশাহী-২ আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘হাসান আজিজুল হক স্যার হলেন এপার বাংলা ওপার বাংলা দুই বাংলারই মানুষ। ব্যক্তিজীবনে আমি তাঁর ছাত্র ছিলাম। এখন তাঁর শিষ্যে পরিণত হয়েছি। আমার রাজনৈতিক জীবনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। স্যারের ওপর যে প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে তা নিঃসন্দেহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক বলয়ে তাঁর বড় একটা প্রভাব রয়েছে সেটা আমরা জানি। তিনি আমাদের মধ্যে এখনও আছেন বলে আমরা বুঝতে পারি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, ‘তাঁর উপমা তিনি নিজেই। তিনি আমাদের মধ্যে এখনও আছেন বলে হয়তো তাঁর গুরুত্ব অনুভব করতে পারছি না। যেমন পারি না নাকের আগায় দম থাকা পর্যন্ত, বাতাস ফুরিয়ে গেলে বাতাসের গুরুত্ব আমরা ভালোভাবে বুঝি। তিনি আমাদের মধ্যে থেকে চলে গেলেও তাঁর কর্ম তাকে চিরদিন বাঁচিয়ে রাখবে।’
রাজশাহী ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফএমএ জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অভিজিত চট্টোপাধ্যায়, রাবির সাবেক উপাচার্য ড. সাইদুর রহমান খান, রাবি ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি সাজ্জাদ বকুল প্রমুখ।
ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ মাসুদ মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি, রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটি, রাবি চলচ্চিত্র সংসদ, চিলড্রেনস্ ফিল্ম সোসাইটি।#