জাবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করল ছাত্র ইউনিয়ন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে এ নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ সভাপতি অলিউর রহমান সানের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিকই কিন্তু উপনিবেশিক চিন্তাধারা থেকে এখনো আমারা বের হতে পারিনি। বৃটিশরা চলে গেছে, পাকিস্থান থেকে স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু যারা এখন শাসন করছেন ও রাষ্ট্রের কাঠামো রচনা করছেন তাদের মধ্যে সেই শাসন শোষণের সংস্কৃতি একই থেকে গেছে। নবীনদেরকে এই উপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামো থেকে বের হয়ে আসার জন্য নিজেদেরেকে প্রস্তুত করতে হবে। নবীনদেরকে ভাবতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এই বাংলাদেশ কেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমতার প্রশ্নে কোন ধরণের আপোষ করা যাবে না। সমাজতান্ত্রিক আদর্শেই রাষ্ট্রকে গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে এই বিপাক কখনো মেটানো সম্ভব হবেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ই হোক আধার হননের অনিশেষ উৎস। আর বিশ্ববিদ্যালয়ই জন্ম দেক সেই নেতৃত্ব যেই নেতৃত্ব বলিষ্ঠ স্বরে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে এবং সমতার বাণী সকলের কাছে পৌঁছে দিবে।’

ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারন সম্পাদক লিটন নন্দী নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা দাসব্যবস্থার শিকার হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে যে যত বেশি দাস তৈরী করতে পারবে সে তত আধিপত্য বিস্তার করবে। নবীনদেরকে মনে রাখতে হবে এই দাস ব্যবস্থার শিকার হলে নিজের ব্যক্তিসত্তা বিলীন হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদেরকে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সারা পৃথিবীতে বিচরণ করার মানসিকতা তৈরী করতে হবে। তবে এটাও মনে রাখা জরুরী পৃথিবীতে জ্ঞানের চেয়ে জ্ঞানের জঞ্জাল বেশি রয়েছে। জ্ঞান ও জ্ঞানের এই জঞ্জালের পার্থক্য লক্ষ্য রেখে চলতে হবে।’

অনুষ্ঠানে নবীনদের বরণ ও পুরষ্কার বিতরণীর পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অধিবেশনে মুক্তমঞ্চে ব্যান্ড মেঘদল, মাদল, ও নুরুল্লাহ গান পরিবেশন করে। এর আগে সংগঠনটির উদ্যেগে নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কুইজ প্রতিযোগিতায় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এছাড়া আবৃত্তি, নাচ, গান, উপস্থিত বক্তৃতাসহ বিভিন্ন ইভেন্টে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে বিজয়ীদের পুরষ্কৃত করা হয়।

নবীন বরণ

পছন্দের আরো পোস্ট