
ঢাবিতে ইউপিএল-এর বিশেষ গ্রন্থ প্রদর্শনী শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও ইউনাইটেড প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল)-এর যৌথ আয়োজনে ‘জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে ৪০বছর: সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণায় উৎকর্ষ অর্জন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এক বিশেষ গ্রন্থ প্রদর্শনী গতকাল (৪ মে) শুক্রবার অনুষদ ভবনের ২য় তলায় শুরু হয়েছে। অনুষদ ভবনস্থ মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান এবং অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড প্রেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউপিএল-এর পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থাপনায় যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চায় তারাই এই ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন ও অংশগ্রহণ করেন। ৪০বছরের বেশি সময় ধরে প্রকাশনা শিল্পে সুনামের সাথে পুস্তক প্রকাশনা করে আমাদের আস্থা অর্জন করেছে ইউপিএল। শিক্ষার্থীদের মাঝে এই প্রদশর্নীর ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বইয়ের বিকল্প বই- অন্যকিছু নয়। বইয়ের বিকল্প অন্যকিছু হলে মানুষ বিভ্রান্ত হবে। বিষয়বস্তুর গভীরতায় প্রবেশ করতে বইয়ের বিকল্প নেই, এই সত্যটি আমাদের অনুধাবন করতে হবে। উন্নতবিশ্বে লাইব্রেরী দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে গ্রন্থপ্রদর্শনীর উপযুক্ত স্থান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ ধরণের কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবসময়ই আন্তরিকতার সাথে স্বাগত জানায়।
এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘মুদ্রিত বই থাকবে কি থাকবে না – এই বিতর্কে আমার মনে হয় মুদ্রিত বইই থাকবে’। যত বিকল্পই থাকুক বই আমাদের সঙ্গে থাকবে। বই থেকে জ্ঞান, তথ্য, বিনোদন সবই পাওয়া যায়, তাই বই হারিয়ে যাওয়ার নয়। অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আশা প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ অন্তত একবারের জন্য হলেও এই প্রদর্শনী ঘুরে দেখবেন।
উল্লেখ্য, ইউপিএল-এর এই ১৪তম বিশেষ গ্রন্থ প্রদর্শনী আগামী ১৬ মে পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এ দেশের পাঠ সচেতন ব্যক্তিদের নিকট এই গ্রন্থ প্রদর্শনী জনপ্রিয় গ্রন্থোন্নয়নমূলক কার্যক্রম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।