এ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন জাবির সাব্বির আহমেদ

সাংবাদিক ও ফিচার লেখক সাব্বির আহমেদ এডুকেশন ওয়াচের পক্ষ থেকে ফিচার লেখক হিসাবে এ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন । ১১ এপ্রিল , ২০১৮ ,বুধবার,বিকাল ৫ টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সন্মাননা প্রদান করা হবে ।

লেখক সাব্বির আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির তিন মাস কর্মশালা (আগস্ট ২৬ হতে ডিসেম্বর ২৫,২০১৬), ইন্টারমিডিয়েট ইংলিশ কোর্স, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ,২০১৭, খন্ডকালীন নিয়োগে গণিত ট্রেইনার হিসাবে এন্জেলিকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল,সাভার, তিন মাসের শিক্ষকতার অভিজ্ঞত্‌ ২০১৭,সেমিনার অন হায়ার স্টাডি ,৪ জুন,২০১৬, রিসার্চ মেথডোলজি সেমিনার (১২ নভেম্বর, ২০১৬), ৭ম এস্ট্রো অলিম্পিয়াড-২০১২, ১৬১ তম অবস্থান, বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্স (বাসস), রাজশাহী বিভাগ-২য় অবস্থান, সেমিনার পঞ্চম আন্তর্জাতিক বঙ্গবিদ্যা সম্মেলন, ২০১৭, ওয়ার্কশপ লিডারশীপ ট্রেইনিং অন সাইবার ক্রাইম (২ মার্চ, ২০১৮), রোভার স্কাউট ডে-ক্যাম্পে দীক্ষা অর্জন (২০১৪,১৫,১৬,১৭,১৮), হ্যান্ডবল,রানার্স আপ,দীর্ঘ ৪ বছর যাবত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত গণিত অলিম্পিয়াড ট্রেইনার (২০১৫,১৬,১৭,১৮)।

এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রোভার স্কাউটের বর্তমান সেক্রেটারি, কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান যুগ্ম সেক্রেটারি, বলয় সেচ্ছাসেবী বিজ্ঞানময়ী সংগঠনের সেক্রেটারি, বিজ্ঞান ক্লাবের প্রচার সম্পাদকসহ বর্তমানে ইউটিউব ভিত্তিক চ্যানেল Shabbir Ahamed, মজার গণিত- এ গণিতের বিভিন্ন শর্ট কাট নিয়ে ফ্রি ভিডিও প্রচার করে যাচ্ছেন।

অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ,সাব্বির আহমেদ বলেন, জন মিল্টনের কথা আমরা সবাই জানি,তিনি ৪৪ বছর বয়সে অন্ধ হয়ে যান, এর ষোল বছর পর তিনি লিখেছিলেন বিশ্বসাহিত্য অমর সৃষ্টি “প্যারাডাইস লস্ট” সহ আরো অনেক ক্লাসিক,কারন সাফল্যর শেষ নেই, শেষ আছে কেবল হতাশা আর ব্যর্থতার।

তাই হতাশ হওয়ার কিছু নেই, শুধু ধৈর্য ধরতে হবে, ব্যর্থতার গ্লানি একদিন না একদিন মুছবেই,তারপর আসবে সাফল্যর স্বর্ণসিড়ি।তখন আপনি সেই সিড়ি বেঁয়ে শুধু উপরেই উঠবেন,এটাই সফলতার ম্যাজিক ফর্মূলা।আর মনে রাখবেন, সাফল্যর শেষ নেই,শেষ আছে শুধু ব্যর্থতার।

সাব্বির আহমেদ একাধারে ছাত্র,লেখক,মেন্টর,গণিত অলম্পিয়াড ট্রেইনার,নতুন ইউটিউবার। তিনি পড়াশোনা করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৪-২০১৫ সেশনের গণিত বিভাগে ৪র্থ বর্ষে অধ্যায়নরত। এছাড়া জাবিতে ভর্তির পূর্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালেয়ে ভূতত্ব ও খনি বিভাগে মেরিট পজিশন ৬৬৭, ভর্তি হয়ে একবছর ক্লাস করেন, পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)-তে ভর্তি হন।

পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকাসহ নিয়মিত ভাবে এডুকেশন ওয়াচে ফিচার লেখক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

Post MIddle

বিশেষ অর্জনঃ

লেখাপড়া২৪ বর্তমানে education24.net অনলাইন পত্রিকা থেকেই তার সাংবাদিকতার হাতেখড়ি। এরপর একেরপর এক ভালো লেখা পাঠকদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন, তার অন্যতম লিখার মধ্যে যেগুলো না বললেই না- ফিরে আসার গল্পে-২০১৭; নিরাপদে থাকুক পাখি,পাখির সৌন্দর্যে আমরা মাতি,মায়ের জন্য লাল শাড়ি,ভাবনায় যখন গণিত, রহস্য ঘেরা প্রাণ, গণিত এক আতঙ্কের নাম, একুশ আমার চেতনায়,এস.এস.সি পরীক্ষার আগে করনীয়,সুনামি ইকুয়েশনের উপর কাজ করতে চাই এছাড়া প্রাণ পেয়েছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কবিতা। কবিতার মধে- বীরাঙ্গনা বলছি, মায়াজাল,উদ্ভাবনী কাজের মধ্য নিজেকে ব্যস্ত রাখতেই বেশি পছন্দ করি উল্লেখযোগ্য।

সাব্বির আহমেদ বলেন,জীবনটা ক্ষুদ্র।এই হ্মুদ্র প্রয়াশ থেকেই যদি অসামান্য কিছু হয় বা পেয়ে যায় তাতে মন্দ কিসের।কাজের স্বীকৃতি পেলে কার না ভাল লাগে,আমারও মন্দ লাগেনা।

কাজে স্বীকৃতি পেলে ভাল লাগে ,কাজে উৎসাহ বাড়ে । আমি পুরস্কার পাওয়ার জন্য কাজ করিনা। সাংবাদিকতা করি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সার বিশ্বে তুলে ধরার জন্য,সাংবাদিকতা আমার নেশা এবং অন্য রকম পেশা। এই পেশার মাধ্যমে সমাজে সকল বাস্তব চিএ তুলে ধরা সম্ভব আর এই মাধ্যম হিসেবে একমাএ education24.net কে সামনে রেখেছি এবং আগামিতেও রাখব। বর্তমানে ইন্টারনেট ভিত্তিকত্তিক এই সমাজ ব্যবস্থায় হাজারও ব্যস্ততার মধ্যেও এই পেশা কে পেশা হিসেবে না নিয়ে মনের খোরাকের জন্য নিয়েছি।

সাব্বির আহমেদ বলেন , আমার জীবনের সকল সফলতা আমার জান্নাতকে ঘিরে ,সেই জান্নাতময়ী আমার বাবা মা’য় আমার জীবনের সফলতার গল্প , আমার কোন সফলতার গল্প নেই । যে বাবা-মা আমাকে এই পর্যায়ে এনে দিয়েছেন সকল কৃতঞ্জতা তাদের পাওনা । আর উপরে মহান রাব্বুল আলামিন ।

আজকের এই মনোনয়ন আমাকে আমার কাজের মাত্রা বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়েছে ।তাই সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশে একটা কথাই বলব, সৌন্দয্য ও সত্যর খোঁজ করুন ।এদের মেলবন্ধন সাহিত্যর প্রাণ। আমরা আসা করব, এডূকেশন ওয়াচ যে আয়োজন করছে তা সকল তরুন লেখকদের মাঝে সৌন্দয্য ও সত্যর মেল বন্ধন ঘটাবে । তারা লেখার জগতে এসে আমাদের উপকার করবেন ও সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ।

কেও কেও পুরস্কার প্রত্যাক্ষান করতে ভালবাসেন , আমি তাদের শ্রদ্ধা করি আবার কেও কেও পুরস্কার পেতে আনন্দবোধ করেন আমি তাদেরকেও শ্রদ্ধা করি, তবে আমি দ্বিতীয় দলে পুরস্কার পেতে আমার কোন বা দ্বিধা নেই বরং আমি আনন্দ অনূভব করি ।

এডুকেশন ওয়াচ সম্পাদক মো:খলিলুর রহমান ও নির্বাহী সম্পাদক এবং সমন্বয়ক সায়ফুল হক সিরাজী স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

অবশেষে এডুকেশন ওয়াচ ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২০১৮, উন্নয়নশীল দেশ উত্তরন: শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন, চ্যালেন্জ ও পরিকল্পনা শ্লোগানকে সামনে রেখে আরো দুর বহুদুর এগিয়ে যাক,এগিয়ে যাক প্রানের উচ্ছ্বাসে তরুন লেখকদের হাত ধরে। এই শুভকামনা করছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতঞ্জতা এডুকেশন ওয়াচ কে আমাকে এই কাজের স্বীকৃতিতে স্বীকৃত করার জন্য।

আবারো এডুকেশন ওয়াচের সবাইকে ধন্যবাদ ও অফুরন্ত ভালবাসা ।

পছন্দের আরো পোস্ট