আমি তনু বলছি
আমি তনু বলছি
সোহাগী জাহান তনু
চিনতে পারছো আমায়?
আমাকে তুমি অনেক ভাবে চিনতে পারো
এবং কি অনেক ভাবেই চেনো।
আমি যখন শুধুমাত্র তনু ছিলাম
তখন তোমার লোলুপ দৃষ্টি
আর বিচ্ছিরি বাক্যের সাক্ষী ছিলাম।
বিনা নোটিশে
আমার পুরো দেহ স্ক্যান করতে তুমি
কি মজাটাই না পেতে তখন।
তোমার ঘরে তখন
তোমার মা ছিলো, ষোড়শী একটা বোন ছিলো।
আমি তোমার কেউ ছিলাম না
অসহায় হরিণী ছিলাম মাত্র।
এক সময় তুমি পশু হয়ে উঠলে
ঝাপিয়ে পড়লে অসহায় হরিণীর উপর
কুকুরের মতো কামড়ে গেলে
একের পর এক, অজস্রবার
চরিতার্থ করলে তোমার যত বিভৎস ইচ্ছা।
আমি তখন কেবলই জড় পদার্থ
নাড়াচড়া করার মতো
একটু শক্তিও অবশিষ্ট রাখোনি
এসনকি কথা বলার শক্তিটুকুও নিয়েছো কেড়ে।
তাতেও তোমার সন্তুষ্টি হলো না
পরিশ্রান্ত কুকুর থেকে এবার তুমি হায়েনা হয়ে উঠলে
একের পর এক ইটের আঘাত
পড়তে লাগলো আমার মুখে
মুখের লালা আর রক্ত একাকার হয়ে গেলো
রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠলে তুমি।
এর ঠিক পরেই ইটের আঘাত
পড়তে লাগলো আমার নিম্নাঙ্গে
রক্তের নদী তখন রক্তের সমুদ্রে পরিণত হলো।
তারপর থেকেই আমি তনু
আজকের তনু হয়ে উঠলাম।
এখন চিনতে পারছো আমায়?
আমি তনু বলছি
সোহাগী জাহান তনু।
ও.. এতক্ষণ মনে হয় ভুল বকলাম!
আমি তো তোমার বোন।
আজ দেখলাম টিএসসির সামনে
ব্যানার হাতে দাড়িয়ে তুমি
কৌতুহল নিয়ে গিয়ে দেখি
আমার ছবিই ব্যানারে
আর তাতে লেখা
আমি নাকি তোমার বোন!
বড় অবাক লাগে ভাবতে
সেদিন কতবার ভাই বলে ডেকেছিলাম।
শুনোনি,
আর আজ, আমি তোমার বোন।
বাহ!
– সংক্ষেপিত
উজ্জ্বল হোসেন সায়েম
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়