সাদা ভুট্টার খাদ্য মেলা

দেশের ভোক্তাদের খাদ্যাভ্যাসের সাথে সঙ্গতি রেখে সাদা ভুট্টা দিয়ে বানানো মুখরোচক খাবারের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। জিলাপি, পরোটা, নানরুটি, পিঁয়াজু, সবজি পাকোড়া, চিকেন রোল, শর্মা, মিষ্টি তেলপিঠা, কেক, পাস্তা, কর্ন স্যুপ এসব খাবার তৈরি হয়েছে সাদা ভুট্টা দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জমে উঠেছিল এই খাদ্য মেলাকে কেন্দ্র করে। আর শিক্ষার্থীদের ভিড় জমে থাকল খাবারের টেবিলগুলো ঘিরে।

২৪ (মার্চ) শনিবার সকালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষনা মাঠ সংলগ্ন মেহগনি রোড়ে সাদা ভুট্টার খাদ্য মেলা উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ।

কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এগ্রেরিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মেলার বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ, ছাত্র পরামর্শ ও নিদের্শনা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস, মিসেস মমতাজ বেগম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাফর উল্লা।

Post MIddle

মেলার সাদা ভুট্টা দিয়ে তৈরি পরোটা, নানরুটি, পিঁয়াজু, সবজি পাকোড়া, চিকেন রোল, শর্মা, মিষ্টি তেলপিঠা, কেক, পাস্তা, জিলাপি, কর্ন স্যুপসহ হরেক রকম খাবার প্রদর্শন করা হয়। কিছু কিছু খাবার তৈরির পদ্ধতিও বর্ণনা করা হয়।

বক্তারা বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে চলতি শতকের ত্রিশ দশকের পর খাদ্যঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশে বিকল্প খাদ্য হিসেবে সাদা ভুট্টাকে বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া এখনই প্রয়োজন। ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার উৎপাদনশীলতা বেশি হওয়ায় সাদা ভুট্টা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের খাদ্যঘাটতি পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, এক কেজি ধান উৎপাদন করতে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার লিটার পানির প্রয়োজন হয়, যার বেশির ভাগই আসে ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে। অথচ ভুট্টা উৎপাদন করতে এর চেয়ে অনেক কম পানির প্রয়োজন হয়। আবার তাপমাত্রা বাড়ায় গমের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

সে তুলনায় সাদা ভুট্টার উৎপাদন অনেক বেশি। এটি সুস্বাদুও। তাই আগামীতে দেশের বাড়তি জনগোষ্ঠীর খাদ্যের জোগান দিতে ধান-গমের বিকল্প হতে পারে সাদা ভুট্টা।

পছন্দের আরো পোস্ট