ফেসবুকের উৎকৃষ্টতম প্রত্যাশিত ব্যবহার হতে পারে উর্পাজন উৎস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেছেন, ফেসবুক নিছক বিনোদনের জন্য একটি সামাজিক মাধ্যম নয়। এর আরও বহুমাত্রিক ব্যবহার রয়েছে। এর বহুমাত্রিক অশুভ বা মন্দ দিকও রয়েছে। যদি ইচ্ছে করা যায়, তাহলে ফেসবুককে ফেকবুকেও পরিণত করা যায়। কারণ এখানে অসংখ্য ভূয়া আইডি আমরা দেখি যাদের সরব উপস্থিতি আমাদের অনেক সময় বিভ্রান্ত ও বিব্রত করে। ফেসবুককে যদি আমরা একটি নির্মল-নির্দোষ-নান্দনিক বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহারের পাশাপাশি উপার্জনের উৎস হিসাবে বৈধভাবে ব্যবহার করতে পারি সেটি হবে ফেসবুকের উৎকৃষ্টতম প্রত্যাশিত ব্যবহার।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘বুস্ট ইওর বিজনিজ উইথ ফেসবুক’ শীর্ষক দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজ (১৮মার্চ) তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টার-এর পরিচালক প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন-এর সভাপতিত্বে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, জাতির জনকের ৯৯তম জন্মদিনে একটি অসামান্য খবর আমরা পেয়েছি। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছি যা জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত হয়েছে। এই অর্জনে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে আমি অভিনন্দন জানাই। এই ১৬ কোটি মানুষকে নেতৃত্বদানকারী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানাই।
Post MIddle
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের পারদর্শীতা ও সৃজনশীলতাকে প্রচার করে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের কাজ করতে হবে। সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে কষ্টসহিষ্ণুতা এবং সহনশীলতার চর্চার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাব-এর ফোকাল পয়েন্ট প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবর রহমানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন। মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট এন্ড কমিউনিকেশন লিমিটেড (এমএমসি)-এর কনটেন্ট ডেভেলপার মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
পছন্দের আরো পোস্ট