পাবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর জম্মদিন উদযাপন

আজ (১৭ মার্চ) স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জম্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। আজ বাঙালি জাতির জীবনের এক আনন্দের দিন। মুক্তিযুদ্ধের এই মহানায়কের জম্মদিন উৎসবমুখর ও যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করলো পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সকালে প্রশাসনিক ভবন থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু হলে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ মহোদয়। এছাড়া শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু হল কর্তৃপক্ষ, শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী পরিষদ, সকল বিভাগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। স্বাধীনতা চত্বরে জাতির জনকের জম্মদিনের কেক কাটা হয়।

এরপর প্রশাসনিক ভবনের মিলনায়তনে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী মহোদয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সম্মানীয় আলোচক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও বিশিষ্ট কবি চৌধুরী জুলফিকার মতিন বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির আবেগ বুঝতে পেরেছিলেন। তাই বাঙালি জাতিকে একত্রিত করে দুরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তার নির্দেশেই বাঙালি স্বাধীনতা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেন। বঙ্গবন্ধু শোষনহীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার আদর্শকে ধারণ করে নতুন প্রজম্মকে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। ত্যাগের রাজনীতি করতে হবে।

আরেক সম্মানীয় আলোচক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে শ্লোগান দিয়ে বাঙালি দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু আজীবন ত্যাগের রাজনীতি করেছেন। তাই বাঙালি তার পিছনে এক কাতারে শামিল হয়েছিলেন। বাংলার মুক্তির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের সৃষ্টি এবং সৃষ্টা।

Post MIddle

উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মধ্যে শিশুকাল থেকেই নেতৃত্বের লক্ষন দেখা যায়। ছোট থেকেই দেশ স্বাধীন করার স্বপ্ন নিয়ে তিনি বড় হতে থাকেন। সময়ের সাথে সাথে তিনি নিজেকে মহানায়ক হিসেবে সারা বিশ্বের সামনে নিজেকে মেলে ধরেন। তার দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই বাঙালি হাজার বছরের শৃংখল ভেঙ্গে স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছিলেন। তিনি ছিলেন সারাবিশ্বের নিপীড়িত-শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির মহানায়ক।

উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হলো সৎ ও নির্ভিক থাকা। মানুষকে ভালোবাসা।

কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকের মধ্যে রক্তের মধ্যে ধারণ করে মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে।

মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোঃ হাবিবুল্লাহর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রক্টর আওয়াল কবির জয়, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কিসলু নোমান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. হাসিবুর রহমান,বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিটের আহবায়ক ফারুক হোসেন চৌধুরী, অফিসার্স এসোসিয়শনের সভাপতি ও সম্পাদক যথাক্রমে শামসাদ ফখরুল ও হারুনর রশিদ ডন এবং ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী আসিফ ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু।

পছন্দের আরো পোস্ট