খুবিতে রিক্যাপচারিং পার্টিশন শীর্ষক দুদিনব্যাপী কর্মশালা সমাপ্ত

দেশভাগ ও পরবর্তীকালে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে গৃহত্যাগী যে বিপুল জনগোষ্ঠীর স্মৃতি বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাচ্ছে তা পুনরুদ্ধারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিন ও কলকাতার নেতাজী সুভাষ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত যৌথ গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবাইকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহবান জানিয়ে এ প্রকল্পটি আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্ব লাভ করবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে। আজ ১৬ মার্চ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের স্মার্ট ক্লাসরুমে আয়োজিত সমাপনী দিনে প্রকল্পের কারিগরি দিকসহ বিভিন্ন কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনাকালে বক্তারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সকালে প্রথম পর্বে টেকনিক্যালিটিস অব আর্কাইভিং বিষয়ে উপস্থাপনা করেন ভারতের কৌশিক আনন্দ কীর্ত্তনীয়া এবং প্রতীম দাস। এ পর্বে মডারেটর ছিলেন ইংরেজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. সাবিহা হক।

Post MIddle

দ্বিতীয় পর্বে প্রকল্পে নেতাজী সুভাষ মুক্তবিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পৃক্ততা কার্যক্রম বিষয়ে উপস্থাপনা করেন উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিকবিদ্যা অনুষদের অধিকর্তা ও প্রকল্প সমন্বয়কারী মনন কুমার ম-ল এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রকল্পের শ্রীদীপ মুখার্জী। এছাড়া কর্মশালায় মুক্ত আলোচনা ও ডাটা সংগ্রহ পদ্ধতি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন মনন কুমার ম-ল। বিকেলে কর্মশালার সমাপ্তি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ইংরেজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. সাবিহা হক। সমাপনী অনুষ্ঠানে কর্মশালার সার্বিক মুল্যায়ণ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সিনিয়র প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামান। তিনি নেতাজী সুভাষ মুক্তবিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত মানবিকবিদ্যা অনুষদের অধিকর্তা ও প্রকল্প সমন্বয়কারী মনন কুমার ম-ল, শ্রীদীপ মুখার্জীসহ ভারতীয় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং যৌথভাবে এ প্রকল্পটি লক্ষ্য অনুযায়ী বাস্তবায়িত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এই আন্তর্জাতিক প্রকল্প বাস্তবায়নে খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর অঞ্চলের এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলাসমূহে বসবাসরত অভিবাসী প্রান্তিক সত্তরোর্ধ জনগোষ্ঠীর স্মৃতিধারণ করা হবে। খুলনা-যশোর অঞ্চলের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পছন্দের আরো পোস্ট