৭ই মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’র স্বীকৃতিতে রাবিতে আনন্দ র‌্যালি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আজ বুধবার  ক্যাম্পাসে এক আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সিনেট ভবন চত্বরে শেষ হয়। র‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ আরো অনেকে অংশ নেন।

আনন্দ র‌্যালির শুরুর আগে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। সেখানে উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসের কালজয়ী ভাষণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ। এই ভাষণ ২৪ বছর পাকিস্তানী শোষণ-নিপীড়নে পিষ্ট জাতিকে তার ভাগ্য পরিবর্তনে অনুপ্রাণিত করে মুক্তিকামী বাঙালিতে রূপান্তরিত করে। এর মধ্য দিয়েই ভাষণটি বাঙালি জাতির ভাগ্য বদলের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে উঠে। রাজনীতি, ধর্ম বা সমাজ গঠনে বিশ্বের সফল নেতাদের সাফল্যের পেছনে রয়েছে অবিস্মরণীয় এক বা একাধিক ভাষণ। তেমনি পরাধীন বাঙালির জাতির ভাগ্যের বাঁক বদলে আলোকবর্তিকা হয়ে এসেছিলো ৭ই মার্চের ভাষণ। এই ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়ে যেমনি বঙ্গবন্ধু তথা বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করা হয়েছে তেমনি বাঙালি জাতির কাছেও ইউনেস্কো সম্মানিত হয়েছে।

Post MIddle

র‌্যালি শেষে উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে র‌্যালির সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এই আয়োজনে রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মো. নজরুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন। র‌্যালিতে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ ও রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারী, প্রক্টর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রভাষ কুমার কর্মকারসহ প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, অনুষদের অধিকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতিবৃন্দ এবং আবাসিক হলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ব্যানারসহ অংশ নেন।

ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর জান্নাতুল ফেরদৌস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট