জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য রচিত বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান

গতকাল (১লা মার্চ ২০১৮) বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোজাফফর আহম্মদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ড. হারুন-অর-রশিদ রচিত ও বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত ‘৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব-ঐতিহ্য সম্পদ ঃ বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথিকৃৎ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমেদ এমপি এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমেদ এমপি তাঁর ভাষণে বলেন, “৭ই মার্চের ভাষণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী সৃষ্টি। এ ভাষণ ছিল কার্যত আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা। এ ভাষণে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে করণীয় সম্বন্ধে জাতির পিতার পূর্ণ দিকনির্দেশনা ছিল। এ ভাষণের পথ ধরেই আমাদের স্বাধীনতা অর্জন।

৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বই লেখার জন্য ড. হারুন-অর-রশিদকে অভিনন্দন।” প্রধান বক্তা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালির নয়, ইউনেস্কো স্বীকৃতির পর এটি এখন বিশ্বমানবতার অনন্য সম্পদ হিসেবে পরিগণিত। একটি ভাষণের এরূপ বিশ্ব-স্বীকৃতি বিরল ও জাতির জন্য তা খুবই গৌরবের। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির নয়, তিনি যে বিশ্বমানবতার এক বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন, ৭ই মার্চের ভাষণের ইউনেস্কো-স্বীকৃতি তারই উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত।

Post MIddle

৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে ড. হারুন-অর-রশিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বই লিখেছেন। আমাদের সকলের জন্য বইটি প্রয়োজনীয় ও সুখপাঠ্য। আমি এ বইয়ের বহুল প্রচার কামনা করি।”

বইয়ের ওপর আলোচনাকালে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মো: আখতারুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন যে, বইটি আকারে ছোট (১২০ পৃষ্ঠা) এবং ৭ই মার্চের ভাষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর হওয়ায়, এটি পাঠক সমাজে সমাদৃত হবে”।

গ্রন্থকার ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, “বইটির প্রকাশনা উপলক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক সুধির উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর এমনি একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনাই বইটি লেখার স্বার্থকতা।”

অনুষ্ঠানের সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান তাঁর ভাষণে বলেন, “বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ যে এক ও অভিন্নসত্ত¡া, ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে তা পুনর্ব্যক্ত হলো। তাঁর এ ভাষণ কালজয়ী।”

পছন্দের আরো পোস্ট