মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে কাপ্তাই লেক খনন করতে হবে

কাপ্তাই লেকে মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে লেক খননের ব্যবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, এমপি। আজ রবিবার সকালে  চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত “কাপ্তাই লেকে মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা কৌশল” শীর্ষক উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হোক অথবা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হোক অথবা পৃথক কোন প্রকল্প নিয়ে আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হোক কাপ্তাই লেক খননের একটা ব্যবস্থা করতে হবে। এই ব্যাপারে আমরা সক্রিয় ভূমিকা রাখব।”

মন্ত্রী বলেন, কাপ্তাই লেকের সীমানা নির্ধারণ এবং এটাকে সংরক্ষণ করা দরকার। এসব বিষয়ে আমরা সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবো”।

তিনি আরও বলেন, “মাছের উৎপাদন যদি কম হয় সেটার কারণ নির্ণয় করতে হবে। মাছের প্রাকৃতিক খাবার ঠিক আছে কিনা-না থাকলে কেন নেই। সেখানে কোন প্রজাতির মাছ চাষ করা যেতে পারে এগুলো গবেষণার মাধ্যমে বের করতে হবে।”

Post MIddle

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, “কাপ্তাই লেকের মৎস্য সম্পদের উন্নয়নের জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, কাপ্তাই লেকের গভীরতা বৃদ্ধি, অবৈধ দখলদার মুক্তকরণ এবং অবৈধ মৎস্য আহরণ নিয়ন্ত্রণে সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে কাপ্তাই লেকের মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন হবে এবং এটি দেশের জন্য একটি সম্পদে পরিনত হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: রইছউল আলম মন্ডল বলেন, “আমাদের সমস্যাগুলিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিহ্নিত করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে হবে।”

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেন, “আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করে যাচ্ছি। মৎস্যসম্পদের উন্নয়নেও আমরা অগ্রগতি সাধন করেছি। গবেষণার মাধ্যমে এক্ষেত্রে আরও ভালো করার সুযোগ আছে।”

কর্মশালায় সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ এবং ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর এম. নুরুল আবছার খান।

//স

পছন্দের আরো পোস্ট