ভাত খাওয়ার পর যা করবেন না

বেঁচে থাকতে চাই খাদ্য।  এ উপমহাদেশে ভাতই আমাদের প্রধান খাবার।  সুস্থ জীবন ধারণের জন্য খাবারের ভুমিকা প্রধান হলেও খাবার গ্রহনের পর কিছু বদ অভ্যাস হতে পারে সুস্থ জীবন ধারণের প্রধান অন্তরায়। ভাত খাওয়ার পরে আমরা হরহামেশা অনেক কিছুই করে থাকি যার বিরূপ প্রভাব আমাদের অনেকের অজানা।

খাওয়ার আগে-পরের নিয়ম-কানুন

১। খাবার শেষ করার পরপরই আমরা ফল খাই। এটা একদম অনুচিত। এতে বাড়তে পারে অ্যাসিডিটি। খাবার গ্রহনের দু এক ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে খাবার শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ধূমপান করেন। খাবার গ্রহনের পর একটি সিগারেট বা বিড়ি যে ক্ষতি করে তা চিকিৎসকদের বিবেচনায় অন্য সময়ের দশটির সমান ক্ষতিকর।

২। খাবার পরেই অনেকেই হাতে চায়ের কাপ নিয়ে বসে যান।  চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণ টেনিক এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তোলে। এতে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে। চা পান করতে হলে খাবার গ্রহনের বেশকিছুক্ষণ পর করুন।

৩।খাবার গ্রহনের সঙ্গে সঙ্গে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। খাওয়ার পরপরই গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে যা পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করতে পারে। খাবার হজমের স্বাভাবিক সময়কে করে তোলে ধীরগতির।

Post MIddle

৪। খাবার শেষে বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করবেন না। খাবারের পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করলে অতি সহজেই ইন্টেসটাইন (পাকস্থলি) থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ বেকে যেতে পারে, পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও হয়ে যেতে পারে। এ ধরণের সমস্যাকে ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন বলা হয়।

৫। খাবার পরপরই ব্যায়াম করবেন না।

৬। ভাত খাওয়ার পরপরই ঘুমাবেন না। এতে শরীরে বাড়তি মেদ জমতে পারে।

সর্বোপরি অতিরিক্ত কোনকিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

 

সঃ সুউ ফয়সাল

 

পছন্দের আরো পোস্ট