সমাবর্তনে সভাপতিত্ব প্রসঙ্গে রাবির বক্তব্য
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ম সমাবর্তন ২৪ মার্চ ২০১৮ তারিখ শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে ২০১৬ সালে এই সমাবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি। এই সমাবর্তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভাপতিত্ব করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করার অনুরোধ জানালে তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে সভাপতিত্ব করার বিষয়ে অনুশাসন প্রদান করেন (সূত্র: শিম/শা:১৮/রা:বি:-৬/৯৮/০১, তারিখ: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮)। একই বিষয়ে ২০১৬ সালেও তিনি অনুরূপ অনুশাসন প্রদান করেন (সূত্র: শিম/শাঃ১৮/ রাঃ বিঃ -৬/৯৮/৩০৭, তারিখ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬)।
সম্প্রতি গত কয়েকদিনে বেশকিছু সংবাদপত্রসহ অন্যান্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্ব করা প্রসঙ্গে যে সকল তথ্য, মন্তব্য ও বক্তব্য-বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে তা প্রকৃত তথ্যনির্ভর নয়। এসব থেকে প্রতীয়মান হয় যে দূরভিসন্ধিমূলকভাবে সমাবর্তন তথা চ্যান্সেলরের অনুশাসনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে তা অংশগ্রহনেচ্ছু নিবন্ধিত স্নাতকদের আরাধ্য ১০ম সমাবর্তন তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে।
উল্লেখ্য যে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম সমাবর্তনেও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী (চ্যান্সেলরের অনুশাসনবলে) সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সভাপতিত্ব করে আসছেন।
মাননীয় চ্যান্সেলরের অনুশাসনকে শ্রদ্ধাবোধের সাথে গ্রহণ করা আমাদের সকলের জন্য বাঞ্ছনীয়। সে বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১০ম সমাবর্তনে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্ব করার বিষয়টিকে অহেতুক প্রশ্নবিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।