![Hajee Mohammad Danesh Science & Technology University](https://lekhapora24.net/wp-content/uploads/2017/02/FB_IMG_1478591422539-750x430.jpg)
হাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে ভিক্ষুক ও টোকাইর উৎপাত
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ভিক্ষুকের উৎপাত বেড়ে গেছে অস্বাভাবিক হারে। সেই সঙ্গে বেড়েছে স্থানীয় টোকাইর উৎপাত। ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাসের ভিতরে ভিক্ষুক প্রবেশ করে। স্থানীয় মহিলারা লাকড়ি ও টোকাইরা বিভিন্ন পড়ে থাকা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কুড়ানোর অজুহাতে বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।
দেখা গেছে ভিক্ষুকরা প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের আড্ডা দেওয়ার স্থান গুলোতে শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করে। এমনকি তারা অনেক সময় ক্লাস রুমে ক্লাস চলাকালীন সময় প্রবেশ করে।এতে শিক্ষাথীদের পড়তে হয় বিব্রতকর অবস্থায়।
এদের সবচেয়ে বেশি উৎপাত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী চত্বর, টিএসসি ও ড. এম ওয়াজেদ ভবনের সামনে।
এ বিষয়ে জিয়া হলের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহেল রানা জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত টোকাই প্রবেশ করার কারনে প্রায় হলগুলো থেকে মোবাইল হারাচ্ছে এবং মাঝে মাঝে আমাদের কাপড়চোপড়ও হারাচ্ছে”।
![Post MIddle](https://lekhapora24.net/wp-content/uploads/2022/03/920X80.gif)
অন্য এক শিক্ষার্থী মো. শফিক ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, ” শহীদ মিনার, ডি বক্স জায়গা গুলোতে বসলে ভিক্ষুকের মুখোমুখি হতে হয়। টাকাই নাই বললে অনেক শিশু হাত পা ধরতেছে। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে”।
বিষয়টি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসব মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো ইচ্ছে নেই বলে মনে করেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলেন, বিষয়টি নিয়ে বারবার তাগিদা দেওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় গেটে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিভিএম গেটে আনসার না থাকায় ভিক্ষুক, টোকাইরা এ পথ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করছে”।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা ইনচার্জ মো. আহসান কবীর জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ে আনসার সদস্য কম থাকায় আমরা সব জায়গায় আনসার নিয়োগ দিতে পারছি না। মাঝে মাঝে কিছু স্থানীয় লোকজন ভিতরে প্রবেশ করে তাদের কিছু বলার থাকে না। আনসারদের আরও সতর্ক হওয়ার ব্যাপারে বলা হবে”।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের ব্যপারে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যারয়ে আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে”।