খুবিতে ভাষাস্মারক বক্তৃতা

গতকাল (১৯ জানুয়ারি) শুক্রবার বিকেল ৪টায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে বাংলাদেশের সাহিত্যের পটভূমিকা শীর্ষক ভাষাস্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সনামখ্যাত শিক্ষক প্রফেসর জুলফিকার মতিন ভাষাস্মারক এ বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বাংলাদেশের সাহিত্যের পটভূমিকার বিষয়টি তুলে ধরতে গিয়ে হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক নানা প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন।

তিনি ১৯৪৭ এ দেশ ভাগের আগে অবিভক্ত বাংলার সামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকালীন রচিত নানামুখি সাহিত্যকর্ম ও তার ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি তার সুলিখিত প্রবন্ধে ১৯৪৭ পূর্বে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে সমগ্রবঙ্গের মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও স্বদেশী বোধ জাগ্রত করতে সাহিত্যিকদের অসামান্য অবদান তুলে ধরে বলেন এর পর ধর্মভিত্তিক রাজনীতিতে বিভক্ত ভারতবর্ষে বাংলা ভাষাভাষিক জনগোষ্ঠির মধ্যে মানবতার ভুলন্ঠন ও সাম্প্রদায়িকতার উত্থানের অপ্রত্যাশিত পর্বও সাহিত্যিকদের লেখায় স্থান পেয়েছে। সাতচল্লিশের দেশ বিভাগের পর বাংলা ভাষিক সাহিত্যিকদের মধ্যে নতুন জাগরণ সৃষ্টি হলেও তা পরিপুষ্টির আগেই নানাবিধ ধরায় বিভক্ত হয়।

Post MIddle

পরে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. শেখ মোঃ রজিকুল ইসলাম তাঁর সমাপনী বক্তৃতায় প্রথিতযশা কবি সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ জুলফিকার মতিনের মননশীল প্রবন্ধ উপহার দেওয়ার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। এর আগে ডিসিপ্লিন প্রধান শিক্ষাবিদ জুলফিকার মতিনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. সাবিহা হক তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং একটি চিত্রকর্ম উপহার দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্য রাখেন এবং শিক্ষাবিদ জুলফিকার মতিনকে পরিচয় করিয়ে দেন সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিসিপ্লিনের প্রভাষক মৌমিতা রায়। এ সময় কলা ও মানবিক স্কুলের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক এবং বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট