স্টামফোর্ডের তৃতীয় সমাবর্তন

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল (১৬ জানুয়ারি) মঙ্গলবার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ চৌধুরী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ।

এবারের সমাবর্তনে ১৪টি বিভাগের অধীনে ২৬ প্রোগ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। এবারের সমাবর্তনে ১ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি ফ্যাকাল্টি থেকে ৫ জনকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক ও ২০ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর পদক দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার প্রত্যাশিত মান নিশ্চিতকরণ ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার গুরুত্ব দিয়ে এ খাতে তদারকি করছে।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞানচর্চা ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে হবে ।

তিনি বলেন, শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি করা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। আদর্শ জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষা খুবই জরুরী উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে গবেষণার মাধ্যমে নতুন তথ্য ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার আহবান জানান।

সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।

সমাবর্তনে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. আলী নকী এবং এসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর নির্বাহী কমিটির সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম বক্তব্য রাখেন।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রথম কনভোকেশন হয় ২০০৯ সালে। দ্বিতীয় কনভোকেশন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালে। ২০১৮ সালে এটি তৃতীয় কনভোকেশন ।