ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন

উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল খেলার মাঠে এ সমাবর্তন সম্পন্ন হয়।জানা যায়, সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো: আব্দুল হামিদ। প্রধান আলোচক হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস.এম আব্দুল লতিফ, সকল অনুষদের ডিন, শিক্ষক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকসহ ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ ও আইন সহযোগী অধ্যাপক ড. আরমিন খাতুন।

Post MIddle

দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যন্সেলর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ এর উদ্বোধন করেন। পরে শোভাযাত্রাসহ অনুষ্ঠান স্থলে আগমন করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি অনুষদের ডিনবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এর নিকট ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ডিগ্রী অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেন। পরে রাষ্ট্রপতি ডিগ্রী অনুমোদন প্রদান করেন।

চতুর্থ সমাবর্তনসমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো: আব্দুল হামিদ বলেন,‘উন্নত জাতিগঠনে চাই উন্নত নাগরিক। আর উন্নত নাগরিক গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য। জাতীয় সমস্যার আলোকে কার্যকর নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, উদ্ভাবন শক্তির সৃজন, প্রায়োগিক সুফলদানে সক্ষম বৈচিত্রধর্মী গবেষণার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর অনেকখানি নির্ভরশীল। জাতি গঠনমূলক উচ্চমান অভিমুখী পরিকল্পনা সফল করতে, বিশ্বের অগ্রসর জাতিগুলোর সমকক্ষ হতে এবং আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের আসনে উন্নীত হতে আমাদের সুপরিকল্পিতভাবে কঠোর শ্রমদান করতে হবে।

বিসর্জন দিতে হবে ক্ষুদ্রস্বার্থ। আন্তরিক বলিষ্ঠ দেশপ্রেম চেতনাজাত সুকঠিন প্রতিজ্ঞাই আমাদের কাঙ্খিত সাফল্য এনে দিতে পারে। বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ও তার প্রায়োগিক ব্যবহার, প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জন ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষক মন্ডলীকে প্রাজ্ঞ দিক নির্দেশনা দিতে হবে। গড়ে তুলতে হবে প্রয়োজনের নিরিখে উন্নত প্রজন্ম। তোমরা স্বীকৃতি প্রাপ্ত উচ্চশিক্ষিত নাগরিক, দেশের সবচেয়ে আলোকিত অংশের গর্বিত সদস্য। দেশ ও জাতির প্রতি তোমাদের রয়েছে অনেক দায়িত্ব ও অংঙ্গীকার। তোমরা নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালনে উন্মুখ বলে আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি। তোমরা তোমাদের অর্জিত জ্ঞানের সফল প্রয়োগ ঘটাতে পারলে দেশ অনেক সমস্য থেকে মুক্ত হবে এবং দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।’

পছন্দের আরো পোস্ট