স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি মাদক বিরোধী ফোরামের গণসাক্ষর কর্মসূচী

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মাদকের বিরুদ্ধে তরুণদের স্বোচ্চার করতে গণসাক্ষরের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক প্রথম মাদক বিরোধী সংগঠন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি মাদকবিরোধী ফোরাম। মঙ্গলবার (দুই জানুয়ারী) মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তেজগাঁও প্রধান কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাদকবিরোধী গণসাক্ষর কর্মসূচীতে সাক্ষর করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, স্টামফোর্ডের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ, প্রো-ভিসি মওদুদ এলহী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো অঞ্চলের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা, রেজিষ্টার আব্দুল মতিন, স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারের উপদেষ্টা রেহেনা আক্তার, সিনিয়র লেকচারার ও সংগঠন টির কো-কনভেনর শবনম মুসতারি প্রমুখ।

এস এ ডি এফের কনভেনর ফারহানাজ ফিরোজ মনে করছেন- এ ধরনের আয়োজন সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক আমাদের সকলের জন্য।সরাসরি অধিদপ্তর এর মাধ্যমে কাজ করাটা অনেক বড় ব্যাপার।মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ সমাজ বের হয়ে আসবে এটাই প্রত্যাশা।

Post MIddle

স্টামফোর্ড মাদক বিরোধী ফোরামের সভাপতি রাখিল খন্দকার নিশান বলেন,মাদক কখনোই বিনোদনের পথ হতে পারে না,নিজেকে তিলে তিলে ধংস করার প্রক্রিয়ামাত্র।এবারই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক প্রথম মাদকবিরোধী ফোরাম বাংলাদেশে হয়েছে,আর প্রথমবারের মতই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্টল পেয়েছে।এজন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণাশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য ডা. অরুপ রতন চৌধুরী ও নঈম নিজাম। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আমেদ।

মাদক বিরোধি প্রচারনাউল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ২ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণসহ আরও অনেক বিষয়ে কাজ করছে এ অধিদপ্তর। যেমন দেশের মাদক সংক্রন্ত অপরাধ দমন, আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ, আইনের প্রয়োগ, মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পূনর্বাসন নিশ্চিকরণসহ শিল্পে ব্যবহৃত মাদক সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল বা কেমিক্যাল আমদানির জন্য লাইসেন্স প্রদান, বিভিন্ন আন্তার্জাতিক সংস্থার সঙ্গে নিবিড় কর্ম সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

পছন্দের আরো পোস্ট