জাবি সিনেট নির্বাচনে শাফিনের প্রচারণা

দীর্ঘ ১৯ বছর প্রতিক্ষার পর আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট নির্বাচন। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা বেড়েই চলছে। ভোটের সমীকরণও বারবার পরিবর্তন হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে ভোটের হিসেবে বড় ফ্যাক্টর হবে তরুণপ্রার্থীরা। নির্বাচনে ১১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে বড় একটি অংশ তরুণ।

তাছাড়া চার হাজার ৩৭৩জন ভোটারের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি তরুণ। যাদের ভোট নির্বাচনের সমীকরণ উলট-পালট করে দিতে পারে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের শেষ সময়ের ব্যাপক গণসংযোগ চলছে।প্রাক্তণ জাবিয়ান ভোটারদের কর্মস্থল ও ক্যাম্পাসে চলছে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ও প্রচারণা। তরুণ প্রার্থীদের মধ্যে মো: রাশেদুল ইসলাম শাফিন (ব্যালট নং ৫৭) ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঢাকা বিভিন্ন বানিজ্যিক ও পেশাদার কর্মস্থল ও ক্যাম্পাসে বিভিন্নভাবে সার্বক্ষণিক প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।ভোটারদের কাছে শোনা যাচ্ছে শাফিন সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। প্রচারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে শাফিন বলেন,‘প্রাক্তন ভাই,বন্ধুবান্ধবী ও শুভকাঙ্খিদের সাথে আমি যোগাযোগ অব্যাহত রাখছি,প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি,সবার কাছে ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশাকরি সবকিছু ঠিক থাকলে আমি নির্বাচিত হবো।’ ছাত্রবান্ধব স্বচ্ছ রাজনীতি ও ক্লিন ইমেজের কারণে শাফিন ব্যাপক পরিচিত মুখ। গণিত বিভাগের ৩২তম ব্যাচের এ শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

Post MIddle

দল-মত নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহনযোগ্যতা থাকায় ভোটাররা তার দিকেই ঝুঁকছেন। তিনি ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা ও প্রগতিশীল রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট মঞ্চ’ প্যানেল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন।

‘সিনেট নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপনার কি পরিকল্পনা রয়েছে?’ এমন প্রশ্নোত্তরে রাশেদুল ইসলাম শাফিন বলেন,‘ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো দ্রুত জাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেতে এবং সিনিটের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হলে আবার সিনেট নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। সম্ভব না হলে পদত্যাগ করবো। আমি নির্বাচিত হলে প্রচলিত ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করে শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচি হাতে নেবো।’

উল্লেখ্য,বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ১৯ (১) (আই) ধারা অনুযায়ী সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন তিন বছর পরপর হওয়ার কথা। কিন্তু ১৯ বছর পর এবার সেই নির্বাচন হচ্ছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯৮ সালে।

এবারের নির্বাচনে বিএনপিপন্থী গ্রাজুয়েটরা ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্যানেল’ এবং আওয়ামীপন্থী গ্রাজুয়েটরা বিভক্ত হয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট’ ও ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট মঞ্চ’ প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন। তিন প্যানেলে ৭৫ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

পছন্দের আরো পোস্ট