চুয়েটে ‘আর্থিক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক কর্মশালা

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযু্িক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) -এর কম্পট্রোলার অফিসের আয়োজনে আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শৃঙ্খলা ও গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে “ওয়ার্কশপ অন ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ফর চুয়েট” শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অদ্য ২৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার), ২০১৭ খ্রি. বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম গ্যালারী মিলনায়তনে উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়। কম্পট্রোলার জনাব মোঃ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন (পিএন্ডডি) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলাম এবং ক্রয় কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আশুতোষ সাহা প্রমুখ। সহকারী কম্পট্রোলার জনাব মোহাম্মদ ওয়াহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রকৌশল দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জনাব অচিন্ত কুমার চক্রবর্তী ও প্রকিউরমেন্ট শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ মিজানুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, আগের যে কোন সময়ের তুলনায় চুয়েটের কলেবর এখন অনেক বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে চুয়েটের জন্য রাজস্ব বাজেট এবং উন্নয়ন বাজেটের আকারও বেড়েছে। সে অনুযায়ী আমাদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজের পরিধিও বাড়াতে হয়েছে। চুয়েটকে সত্যিকার অর্থে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে ২০৩০ সালকে সামনে রেখে অর্গানোগ্রাম রিভিউ করার কাজ চলছে। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের আগাতে হবে। আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ খাতে শৃঙ্খলা ও গতিশীলতা আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শাখা মিলে একসাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও একাগ্রতা বজায় রেখে কাজ করলে দ্রুতই দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। সেজন্য এ ধরণের কর্মশালা প্রতি ছয়মাস অন্তর করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো।

Post MIddle

কর্মশালায় পৃথক পাঁচটি সেশনে আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে দিনব্যাপী আলোচনা হয়। এতে চুয়েটের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার অন্তত শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।

//স

পছন্দের আরো পোস্ট