বাজারে এলো এসিআই ফার্টিলাইজারের এনপিকেএস সার “রত্ন”

কৃষি জমিতে সুষম মাত্রায় সারের ব্যবহার বাড়াতে এনপিকেএস সার ‘রত্ন’ বাজারজাত শুরু করেছে এসিআই ফার্টিলাইজার। প্রতি বছর গাজীপুরের মাওনায় স্থাপিত কারখানায় উৎপাদিত ৬০ হাজার টন সার বিপণন করবে এসিআই। কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেলে সামনের দিনগুলোয় এটির উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে এসিআইয়ের।

এ বিষয়ে এসিআই এগ্রিবিজনেসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এফ. এইচ. আনসারী বলেন, জমির উর্বরাশক্তি ধরে রাখতে হলে এতে নাইট্রোজেন ও জৈব উপাদানের পাশাপাশি ফসফরাস, পটাশিয়াম, সালফার, জিংক, বোরন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজনীয় মাত্রায় থাকতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার না হওয়ায় জমির উর্বরাশক্তি ও গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে দেশের অন্যান্য স্থানে মিশ্র সার রত্ন উৎপাদনের জন্য কারখানা করা হবে। এছাড়া সারা দেশের মাটির কার্যকারিতা ও ভিন্নতা অনুসারে এসব সার উৎপাদন করা হবে।

Post MIddle

এসিআই ফার্টিলাইজারের বিজনেস ডিরেক্টর কৃষিবিদ বশির আহমেদ বলেন, বাড়তি চাহিদার কারণে কৃষকরা জমি থেকে বেশি উৎপাদনে মনোযোগী হচ্ছে। কিন্তু জমিকে যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান দিতে হবে, সেটি খুব বেশি নজরে আসছে না। ফলে ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি মাটির গুণাগুণ ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ হিসেবেই সার কারখানায় বিনিয়োগ করছে এসিআই। সরকার নির্ধারিত মান অনুসারেই সারটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। ফলে ফসলের নেবে যত্ন এসিআই মিশ্র সার রত্ন।

প্রসঙ্গত, দেশের সিংহভাগ জমিতেই জৈব উপাদানের ঘাটতি রয়েছে। দেশের আবাদযোগ্য জমির মধ্যে উর্বরাশক্তি কমেছে প্রায় ৮৫ ভাগ ভূমির। চাষযোগ্য জমিগুলোতেও প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেনের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া জৈব পদার্থের অভাব রয়েছে, এমন জমির পরিমাণও ৩৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। জমিতে সারের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার বাড়াতেই এনপিকেএস সার উৎপাদন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এসিআই ফার্টিলাইজারের এ্যাসিস্ট্যান্ট মার্কেটিং ম্যানেজার ইউসুফ আলম।

পছন্দের আরো পোস্ট