কুবি’র বাসে বহিরাগতদের হামলা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসে বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাসের চালক ও চালক-সহকারীসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ০৮ জন। রবিবার সকাল ১০টায় কুমিল্লার দৌলতপুর নামক স্থানে ক্যাম্পাস থেকে শহরমুখী বাসবহরে এই হামলা করা হয় বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। বহিরাগতদের এই হামলার ঘটনায় ক্যাম্পাসে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ রবিবার বাস বহর ক্যাম্পাস থেকে শহরের শিক্ষার্থীদের আনতে রওয়ানা হয়। বাস শহরের অদূরে দৌলতপুর তেমাথায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেল পাশ কাটিয়ে (ওভারট্যাক) করে যেতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসচালককে গালাগালি করে। এসময় চালক সুমন চন্দ্র দাস (৩৪) প্রতিবাদ করায় মোটরসাইকেল আরোহী শান্ত (৩০) ও জালাল (২৬) নামের স্থানীয় দুই যুবক তাকে বাস থামাতে বাধ্য করে এবং বাস থেকে নামিয়ে হেলমেট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। এরপর মোটরসাইকেল চালক শান্ত তার সাঙ্গপাঙ্গকে ফোন দিয়ে ডেকে আনে। এসময় বাসবহরের অন্যান্য চালক ও চালক-সহকারীরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও তারা বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং গাড়ির কাঁচ ভাংচুর করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় বাসচালক ও চালক-সহকারী রিপন (২৫), হাসান খান (২২), বাবুল প্রামাণিক (৩২), রবিউল হাসান সুজনসহ (২৮) কমপক্ষে ০৮জন আহত হন। আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিআরটিসি চালক বাবুল প্রামাণিককে নিকটস্থ ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অন্যান্যরা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালে ভর্তি হন।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সহকারী প্রক্টর মো: রবিউল আলম ও উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থল থেকে হামলকারী সন্দেহে আরিফুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবককে আটক ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পরে তা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

Post MIddle

আরিফুল ইসলাম নিজে হামলার কথা অস্বীকার করে জানান, বাসে হামলার সাথে জড়িত ছিলেন জালাল (২৬), শান্ত (৩০), রাকিব (২৫), রনি (২৫)। তারা সকলেই কুমিল্লার কোতোয়ালী থানার মহিউদ্দিননগরের বাসিন্দা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার মো: মজিবুর রহমান মজুমদার জানান, ‘তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী তথা সরকারি কর্মচারীদের মারধর করে রক্তাক্ত করেছে, গাড়ি ভাংচুর করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ঘটনার তথ্য সংগ্রহ চলছে। এ বিষয়ে খুব দ্রুত থানায় মামলা করা হবে।’

কুমিল্লা কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাহিদুল আলম বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। তবে ঘটনাস্থল কোতোয়ালি থানার অধীন। এ বিষয়ে লিখিত পেলে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

//স

পছন্দের আরো পোস্ট