চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২৩ বছর পূর্তি

২৩ বছর পেরিয়ে ২৪ বছরে পদার্পন করল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। এ উপলক্ষে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাধব চন্দ্র দীপ ও ২য় ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হামিদুল্লাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর হায়াত হোসেন, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, প্রক্টর ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক খন্দকার আলী আর রাজী ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি শিমুল নজরুল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষদ প্রাঙ্গনে বেলুন উড়িয়ে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এসময় প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষার্থীসহ বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার ও প্রশাসনিক ভবন ঘুরে অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়। পরে ১১টায় শুরু হয় আলোচনা সভা।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ২৩টি বসন্ত পেরিয়ে আজ সাংবাদিকতা বিভাগ আপনালয়ে উদ্ভাসিত। আমরা বীরের জাতি, বীরের গৌরব গাথায় বিজয়ের মাসে এগিয়ে যাব আমরা। আজকের এ দিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ত্রিশ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় চার নেতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি।

তিনি বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরা আগামী দিনের দেশকে পথ দেখাবে। অন্ধকারের অপশক্তি কূপমন্ডুকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি আমরা সবাই। এক সময় এ যুদ্ধে জয়ী হব আমরা। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের নিজেকে নিজে আবিষ্কার করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন।

Post MIddle

সাংবাদিকরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বার্তাকে সঠিকভাবে বহন করতে হবে। যদি এটিকে ভালভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। এসময় তিনি এ পেশাকে কলুষিত না করারও আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের আয়না। তারা বস্তুনিষ্ঠ ও সত্যনিষ্ঠভাবে সকল বিষয় তুলে ধরার মাধ্যমে একটি দেশ ও সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এ বিভাগের যারা আজকের শিক্ষার্থী তোমারাই হবে আগামী দিনের সাংবাদিক। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। তোমাদের আলোর মাধ্যমে এ দেশ আলোকিত হবে।

অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পেরিয়ে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এখন যৌবনে। আমরা সবাই এ পরিবারের সদস্য। এ বিভাগকে ধারণ করে আমাদের সবাইকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ক্যাম্পাস টেলিভিশন এবং রেডিও চালু করব। এর মাধ্যমে আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসকে সবার কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

আলোচনা সভায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বক্তব্য রাখেন বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফজলুল করীম, পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহমিনা তানিয়া ও সায়মা আলম, নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন জুয়েল, ১৩ তম ব্যাচের তারেক রহমানসহ প্রমুখ। পরে বিকেলে সাড়ে ৩টায় বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শহিদুল সুমন
১৮ তম ব্যাচ, চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
মোবাইল- ০১৮৮১১২০১৭৪

পছন্দের আরো পোস্ট