এইউবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন

আজ (১০ ডিসেম্বর) রবিবার এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ৬ষ্ঠ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন,শিক্ষা সম্প্রসারণের সাথে সাথে শিক্ষার মান সমুন্নত রাখার মাধ্যমেই কেবল যোগ্য গ্রাজুয়েট তৈরি করা সম্ভব। ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে সেই কাজটি করে চলেছে।

এইউবি শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে তাদের মাঝে দেশপ্রেম, স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ, সংরক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণসহ জঙ্গীবাদমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রেখে চলেছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আমার অভিনন্দন। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয় সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। বিগত প্রায় দুই দশক ধরে দেশের অন্যতম এ শিক্ষাতায়নটি বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে জীবন যুদ্ধে অবতীর্ণ এবং জাতির সেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে তুলেছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ অত্যন্ত স্বল্প শিক্ষাব্যয়ে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে। ফলে গ্রাম-গঞ্জের অবহেলিত ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীগণ এখান থেকে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।

আশুলিয়াস্থ অত্র প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ আখতারুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন- এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. জাফার সাদেক, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ এনামুল হক খান।

Post MIddle

এইউবির ৬ষ্ঠ সমাবর্তনসমাবর্তন বক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান বলেন, এইউবি ব্যবসায়িক মনোভাব নয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা মানবিকতাসম্পন্ন মানুষ গড়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে শিক্ষা লাভ করে শিক্ষার্থীরা স্বার্থপরতাকে বাদ দিয়ে সবার জন্য ও মানবতার জন্য কাজ করছে। যা প্রশংসার দাবী রাখে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অতীতে আমার সম্পৃক্ততা ছিল এবং সেই সুবাদে এশিয়ান পরিবারের সাথে আমার একটি পারিবারিক ও আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মানসম্মত ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ শিক্ষা দান করে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু থাকা অধিকাংশ বিভাগের বাজার চাহিদা না থাকলেও তা কর্তৃপক্ষ চালু করেছে মানবতার কল্যাণের জন্য।

এইউবি’র প্রতিষ্ঠাতা ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক বলেন, জীবনের স্বপ্ন বিনির্মান এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং নিরলস প্রচেষ্টা থাকতে হবে। আজকে তোমরা যে ডিগ্রী অর্জন করলে এবং এর মাধ্যমে কর্মজীবনে আরো যে অর্জন তোমরা করবে তা শুধু তোমাদের ব্যক্তি জীবনের জন্যই নয় বরং পরিবার, সমাজ, জাতি ও মানব কল্যাণের জন্য বিলিয়ে দিবে। সনদপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য ঘোষণা করে তিনি বলেন, আমাদের পথ চলায় আশা করি আমরা তোমাদেরকে সব সময় পাশে পাবো।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাষ্টিজ এর সদস্যবৃন্দ, ট্রেজারার এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, রেজিস্ট্রার ড. মোঃ শাহ আলম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক একে এম মনিরুল ইসলাম, ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডীনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, সুধীম-লী এবং ২০০৯ সালের স্প্রিং সেমিস্টার থেকে ২০১৭ সালের স্প্রিং সেমিস্টার পর্যন্ত পাশ করা শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট