চবিতে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন ও ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ দুপুর ১ টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

এ প্রস্তুতি সভায় চ.বি. উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, অনুষদসমূহের ডিন, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, পরিচালক ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা, বিভাগীয় সভাপতি ও ইনস্টিটিউট সমূহের পরিচালকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়ন এবং চ.বি. বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কর্মসূচিতে থাকছে-সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ, ফজরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় মুনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার সদগতি কামনা করে প্রার্থনা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, শোক র‌্যালি এবং বঙ্গবন্ধু চত্বরে আলোচনা অনুষ্ঠান।

Post MIddle

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচিতে থাকছে-১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২.০১ মিনিটে মহান বিজয় দিবসের সূচনালগ্নে বিউগল ও ট্রাম্পেট বাজিয়ে বিজয় দিবসকে স্বাগত জানানো, ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, দেশ ও জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদসমূহে বিশেষ মুনাজাত এবং মন্দির, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে পুস্পমাল্য অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, বিজয় র‌্যালি এবং বঙ্গবন্ধু চত্বরে আলোচনা সভা।

অতঃপর বঙ্গবন্ধু চত্বরে সংগীত বিভাগ, নাট্যকলা বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসস্থ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এবং মহিলা সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিকেলে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে প্রীতি ক্রীড়া অনুষ্ঠান। এ ছাড়াও ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন এবং হলসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। সার্বিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারে সভায় ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উপাচার্য তিনদিন ব্যাপি সার্বিক কর্মসূচি সর্বাঙ্গিন সুন্দর, সুশৃংখল, সফল ও সার্থক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পছন্দের আরো পোস্ট