হাবিপ্রবিতে আনন্দ শোভাযাত্রা

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক “প্রমান্য ঐতিয্যের” অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় আনন্দ শোভাযাত্রা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম নেতৃত্বে উক্ত শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ।

আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম উপস্থিত সকলের উদ্দেশে বলেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ায় হাবিপ্রবি পরিবার অত্যান্ত গৌরান্বিত বোধ করছে। তিনি বলেন, রেসকোর্স ময়দানে তাঁর সেই কালজয়ী ভাষণ সাড়ে সাত-কোটি বাঙালীকে বিপুলভাবে আন্দোলিত করেছিল এবং দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এদেশের বীর জনতা নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৬ ই ডিসেম্বরে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। একটি মানচিত্র। একটি জাতীয় পতাকা। এটি বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন- যা সম্ভব হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী, সাহসী এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বের কারণে।

Post MIddle

বঙ্গবন্ধুর ঐহিতাসিক ৭ই মার্চে ভাষণ কেবল বাংলাদেশের মানুষের নয়; বিশে^র দেশে দেশে নির্যাতিত নিপীড়িত, শোষিত বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সুবিচার, গণতন্ত্র, মানবধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার ও শান্তির পক্ষে যুগে যুগে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছে। সমগ্র পৃথিবীর যারা নির্যাতিত নিপীড়িত, শোষিত বঞ্চিত মানুষের জন্য সংগ্রাম করছেন তাদের যুগে যুগে উৎসাহ দেবে।

এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের সমগ্র জাতিকে বিশ্ব ঐতিয্যের সাথে যুক্ত করেছে। যা নিয়ে বাঙালি জাতি চিরকাল গর্ব করতে পারবে।

//শ

পছন্দের আরো পোস্ট