শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শিক্ষার্থীদের চাকরি খোঁজার পরিবর্তে উদ্যোক্তা হতে উত্সাহিত করতে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অন্যের কর্মচারী হতে শিক্ষা দেয়। কিন্তু তাদের উচিত কর্মচারী বা উদ্যোক্তা দু’টো হবারই শিক্ষা দেয়া।

সম্প্রতি ভারতের ঝাড়খন্ডে জামশেদপুরে টাটা স্টিলের সিগনেচার ইভেন্ট সামভাদের সমাপনী দিনে আগত বিপুলসংখ্যক উপজাতি তরুণ-তরুণী, উন্নয়ন কর্মী ও বিজ্ঞজনদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনূস বলেন, পুঁজিবাদী কাঠামোর ওপর গড়ে ওঠা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ধরে নেয়া হয় যে, মানুষকে অন্যের চাকরি করে জীবন ধারণ করতে হবে। কিন্তু আমাদের জন্ম এ জন্য হয়নি।

Post MIddle

উপজাতি তরুণদের স্বাবলম্বী হতে উত্সাহিত করে তিনি বলেন, আমরা মানুষকে স্বাবলম্বী ও উদ্যোক্তা হতে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছি, আর এ কারণে আমরা ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে শুরু করি। আজ গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ৯০ লক্ষ যাদের ৯৭ শতাংশই নারী।

রাজ্যসভা সদস্য ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম গত ১৮ নভেম্বর মুম্বাই সাহিত্য উত্সবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নতুন গ্রন্হ ‘আ ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস’ এর উদ্বোধন করেন। এর পর অনুষ্ঠিত হয় প্যানেল আলোচনা। যেখানে সাবেক মন্ত্রী জয়রাম রমেশ, ভারতে বুকলিংক ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান বিক্রম সিং মেহতা, এইচএসবিসি ভারতের প্রাক্তন কান্ট্রি চিফ নায়না লাল কিদওয়ায়ি ও প্রফেসর ইউনূস অংশগ্রহণ করেন।

গত ১৪ থেকে ১৯ নভেম্বর জামশেদপুরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও কেনিয়া থেকে আন্তর্জাতিক উপজাতি প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ইউনূস সেন্টারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পছন্দের আরো পোস্ট