গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ক্লাব ফেয়ার

স্টলে স্টলে বর্ণিল সাজ, ফটো প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনাসহ আনন্দ-উল্লাসে উদ্যাপিত হয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের চতুর্থ ক্লাব ফেয়ার। আজ (১৬ নভেম্বর) শেওড়াপাড়াস্থ ক্যাম্পাসে ১৬টি ক্লাবের হাজারো শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফৈয়াজ খান, কোষাধ্যক্ষ ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক মো. শহীদ উল্লাহ, ডীন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী, অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমানসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী।

Post MIddle

ক্লাব ফেয়ারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা সবার আগে পড়াশোনায় গুরুত্ব দেবে। যদিও এক্সট্রা কারিকুলামে অবহেলা করলে চলবে না। কারণ, পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের না থাকলে একজন শিক্ষার্থী নিজের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ ঘটাতে পারে না। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটি শুধু পাঠদান করে না, সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে মেধা ও মননেরও বিকাশ ঘটিয়ে থাকে। তিনি বলেন, বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা, নৈতিকতা সম্পন্ন ও সামাজিকভাবে দায়িত্ববান- এই তিন গুণাবলীকে সামনে রেখে গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট তৈরি করে। আর এই কাজে প্রতিষ্ঠানের ১৬টি ক্লাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বিভিন্ন ক্লাবের স্টল পরিদর্শন করেন। এ সময় ক্লাব সদস্যরা তাদের সামনে ক্লাবের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও বিভিন্ন কর্মকা- তুলে ধরেন। পরে বিচারকম-লীর দেয়া নম্বরের ভিত্তিতে ১৬টি ক্লাবের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাবের নাম ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৬টি ক্লাবের মধ্যে রয়েছেÑ ডিবেটিং ক্লাব, গ্রিন বিজনেস ক্লাব, ইংরেজি ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, ল’ ক্লাব, সোস্যাল বন্ডিং ক্লাব, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ক্লাব, টেক্সটাইল ক্লাব, কম্পিউটার ক্লাব, এফটিডিএম ক্লাব, গ্রিন ওয়ারিয়র ক্লাব, রিডিং সোসাইটি, ফটোগ্রাফী ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, থিয়েটার ক্লাব এবং ব্লাড ক্লাব।

পছন্দের আরো পোস্ট