প্রযুক্তির বিকাশে তরুন বিজ্ঞান উদ্যক্তা মোবাশ্বের

এনভাইরোনমন্টোল মনিটরিং ও ল্যাবরেটরি প্রযুক্তি বিষয়ক সম্মলেনে তরুন প্রযুক্তি উদ্যক্তা মোবাশ্বের হোসনে ভারতের হায়দ্রাবাদে  হাইটেক সিটিতে অনুষ্ঠতিব্য আন্তর্জাতিক ল্যাবরেটরি এনালাইটক্যিাল কনফারন্সে এ্যানালাইটিকা এ্যানাকন এবং  নয়াদিল্লীতে ভারতীয় পরিবেশ অধিদফতরের প্রথমবার  আয়োজিত  পরিবেশ শবিষয়ক সম্মেলন কনটিনিউয়াস  এ্মিশন মনিটরিংএ বাংলাদেশ  থেেক মনোনিত  প্রতিনিধি হিসেবে অংশ  নিয়েছেন ।

তিনি গত ১৮ই সেপ্টেম্বর  থেকে ৮ই অক্টোবর র্পযন্ত র্সাকভুক্ত ও বাংলাদেশের  উচ্চ পর্যায়ের  ল্যাবরেটেরি ও পরিবেশ মনিটরিং  বিশেষজ্ঞদের সাথে নয়াদিল্লীতে  জাপানের হরিবা সায়েনটিফিক সার্ক সদর দফতরে এয়ার পলুশন মনিটরিং প্রযুক্তি এবং কর্নাটকের বাঙ্গালোড়ে  বিশ্ববিখ্যাত র্জামান প্রতিষ্ঠান সারটরিয়াস থেকে ল্যাব টেকনোলজি বিষয়ে (জিএলপি ) উচ্চতর প্রশিক্ষন গ্রহণ করেছেন ।

Post MIddle

এছাড়া মুম্বাইতে আন্তর্জাতিক এনভাইরোনমেন্টাল ও ওয়াটার  টেস্টিং এক্সিবিশন পরিদর্শন ও বায়োভিস এক্সপার্টভিশন নামের  হাইটেক  ইমেজিং সফটওয়ার  কোম্পানীতে প্রশিক্ষন নেন ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পন্ন করেন।বাইয়োভিস উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ফার্মাসিঊটিকাল পার্টিক্যাল এনালাইসিস,  ক্যানসার ডায়াগনসিস ও বিজ্ঞান ও কৃষি গবেষনায় ব্যাবহৃত হবে ।

নীলফামারীর পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরাশশী গ্রামের সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম মনির উদ্দিন আহমেদ এর নাতি এবং নীলফামারী সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ লেঃ কর্নেল প্রফেসর মো: মোশাররফ হোসেন এর বড়  ছেলে মোবাশ্বের হোসেন  নীলফামারী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে  এসএসসি ও সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

পরর্বতীতে ইউনিভার্সিটর অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ  (ইউডা) থেকে মলিকুলার মেডিসিন  ও বায়োটকেনলজি  বিষয়ে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনা সহ   স্নাতক ও স্নাতকত্তর ডিগ্রিী সম্পন্ন করেন।  বর্তমানে  তিনি  দেশের  ঔষুধ শিল্পের মান নিয়নত্রন প্রযুক্তি , ল্যাবরেটরি  ও স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখা বিএসটিসির সহযোগি প্রতিস্টান গুডলাক সাইন্টেফিক  কোম্পানি এবং জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটকেনলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগে খন্ডকালীন এমফিল লিডিং -পিএইচডি রিসার্স ফেলো হিসাবে  র্কমরত আছেন। দেশের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী  জৈব প্রযুক্তিবিদ ও জিন প্রকৌশলী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ সোহায়েল আবদুল্লাহর রিসার্চ টিমের সাথে সীমাবদ্ধতার মাঝেও বায়োটেক প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশীয় উদ্ভিদ থেকে বায়োটেক প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়োএকটিভ ন্যাচারাল কম্পাউন্ড ল্যাবরেটরিতে উতপাদন করার চেস্টা করছেন  যা  অধিকমাত্রায় উতপাদন করা গেলে ওষুধ ও শিল্পের কমার্শিয়াল কাচামাল  হিসাবে দেশের অর্থনিতীতে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে ।

মোবাশ্বের হোসেন  বলেন  ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন বেড়ে যাওয়ায় বাকি শিল্পন্নত দেশের মত বাংলাদেশেও পরিবেশ দুষন বিশেষ করে পানি ও বায়ু দুষন বেড়ে যাচ্ছে যা ইকোসিস্টেমকে নস্ট করছে স্বাস্থ্য ঝুকি এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিং বাড়িয়ে দিচ্ছে । জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা ডব্লিউ এইচ ও এর মতে বিশ্বে সারে পাচ মিলিয়ন মানুষ শুধু বায়ু দুষনেই মারা যাচ্ছে ।আমাদের দেশে বায়ু দুষন মনিটরিং এর জন্য পর্যাপ্ত তথ্য নেই দেশ থেকে  কারিগরি সুবিধার অভাবে ।  বায়ু ও পরিবেশ  দুষন মনিটরিং রিয়াল টাইম মনিটরিং এর জন্য জাপান , জার্মানি ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি সংযোজনের চেস্টা করছি কলকারখানাগুলতে এবং পরিবেশ গবেষকদের কাছে তুলে ধরছি কারিগরি দিকগুলি । এতে আমাদের পরিবেশ দুষন যেমন কমবে সাথে রফতানীমুখি শিল্পকারখানাগুলিও দেশে বিদেশে গ্রহনযোগ্যতা পাবে ।

আরো বলেন দেশে  ক্রমবর্ধমান শিল্পগুলির মান নিয়ন্ত্রন,কমপ্লায়েন্স সার্ভিস  ও বিজ্ঞান গবেষনার যন্ত্রপাতির সার্ভিস প্রদানে পেশাদার ল্যাবরেটরি ও হাইটেক প্রযুক্তিবিদের অভাব থাকায় আমাদের বিদেশী এক্সপার্টদের মুখাপেক্ষি থাকতে হয় তাই তার লক্ষ্য দেশ থেকে এই সেক্টরে দক্ষ  প্রযুক্তিবিদ গড়ে তোলা । বলেন আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে হলে দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলতে ভাল কোয়ালিটি কন্ট্রল ল্যাব এবং রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অবকাঠামো থাকা উচিত । আধুনিক বায়োটেক ও মলিকুলার ডায়াগন্সটিক প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগ নির্নয় এবং বায়োফার্মাসিউটিক্যাল তথা মেডিকেল বায়োটেকনলজি প্রযুক্তি চিকীতসাক্ষেত্রে প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি তাই দেশ বিদেশে থাকা প্রযুক্তিবিদদের প্রস্তুত হতে হবে ।

ভাল বিজ্ঞান গবেষক প্রযুক্তিবিদ গড়ে তোলা অনেক ব্যায় সময় ও ধৈর্যের বিষয় । এজন্য  সরকারি বেসরকারি উদ্যাগ ছাড়াও সামাজিক ও পারিবারিক উতসাহমুলক পরিবেশ সৃস্টি করতে পারে আর এক্ষেত্রে সব থেকে ভাল ভুমিকা রাখতে পারে  মিডিয়া। একজন গবেষক হিসাবে মতামত দেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে উদ্যাক্তা ও শিল্প ইণ্ডাস্ট্রিগুলর কোলাবরেশন থাকা উচিত অন্যান্য বিজ্ঞান উন্নত দেশে যেটা হয় । ইকোনমিস্ট এর তথ্যমতে বাংলাদেশ অর্থনিতীতে ৪২তম শক্তিশালী দেশ । এই ধারা বজায় রাখতে হলে বিজ্ঞান ও গবেষকদের প্রাইয়োরিটি দিয়ে দেশের নিতীনির্ধারনে অংশগ্রহন করান যেতে পারে।  তিনি বলেন জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে উন্নত শক্তিশালী বাংলাদেশ   সোনার বাংলা গড়ার ।

তিনি বিজ্ঞানীদের সর্বোচ্চ মুল্যায়ন করতেন । আর তাই নিজ প্রিয় কন্যা শেখ হাসিনাকে বিয়ে দেন ততকালীন তরুন বিজ্ঞানী ও পরবর্তীতে পরমানু বিজ্ঞানী ডঃ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে যার পরিকল্পনায় দেশে রিসার্চ ইন্সটিটিউটগুল গরে ওঠে । দেশকে ভালবেসে উন্নত দেশ গড়ার জন্য স্বপ্নকে বুকে মনে প্রানে ধারন করেছিলেন বংগবন্ধু।  তাই সোনার দেশ গড়তে তরুন প্রজন্মকে আদর্শিক হতে হবে ।

 

পছন্দের আরো পোস্ট