বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু ১০ নভেম্বর

আগামী ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ভর্তিযুদ্ধ। বর্তমানে অাসন সংখ্যার দিক দিয়ে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় বশেমুরবিপ্রবি। শিক্ষার্থীদের জন্য এ বছর সংরক্ষিত রাখা হয়েছে ৩০০,১টি অাসন যা অাসন সংখ্যা গণনায় পেছনে ফেলেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও। ৭,১২৩টি অাসন নিয়ে এ বছর প্রথম স্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৪,৭৯১টি অাসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ৪,১১৯টি অাসন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সদ্য ২০১১ সালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) স্থান এখন চতুর্থ পর্যায়ে। অাসন সংখ্যার দিক দিয়ে এ বছর যা পেছনে ফেলেছে জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কেও।
এ বছর মোট ৮টি ইউনিটের অধীনে ৩,০০১ জন শিক্ষার্থী (বিদেশী শিক্ষার্থী ও কোটা সহ) ভর্তি নেবে বশেমুরবিপ্রবি এবং বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০০টি অাসন। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে শুধুমাত্র ১৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মধ্য দিয়ে অানুষ্ঠিকভাবে যাত্রা শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্নের শুরু থেকেই রাতারাতি অগ্রগতি সাধিত হতে থাকে যা এখন বাস্তবেই সুস্পষ্টরূপে পরিলক্ষিত। ফলশ্রুতিতে, ৫ বছরের ব্যবধানে অাসন সংখ্যা বেড়েছে ২,৮৪১টি। যেই বিশ্বিবিদ্যালয়ে মাত্র অাসন সংখ্যা ছিলো ১৬০টি, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ই ৫ বছরের ব্যবধানে এখন দেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অাত্নপ্রকাশ করেছে।
Post MIddle
এ বছর বশেমুরবিপ্রবিতে অাবেদন করেছে ৭৬,৭৫৩ জন শিক্ষার্থী। অাসন প্রতি লড়বে ২৬ জন শিক্ষার্থী। এ ইউনিটে যথাক্রমে ১২,৪৯৪ জন, বি ইউনিটে ৯,৩৮৮ জন, সি ইউনিটে ১৫,৩২১ জন, ডি ইউনিটে ৫,৯৬৩ জন, ই ইউনিটে ১২,৬৫৫ জন, এফ ইউনিটে ৬,০০৩ জন, জি ইউনিটে ৫,৪০০২ জন এবং এইচ ইউনিটে ৯,৫২৭ জন শিক্ষার্থী অাবেদন করেছে।
উল্লেখ্য, ডি এবং ই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১০ নভেম্বর; এফ এবং জি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১১ নভেম্বর; এ এবং বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ নভেম্বর; সি এবং এইচ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সেই দিক বিবেচনায় বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তিযুদ্ধের বাকি অার মাত্র ৪ দিন।
মনোরম ক্যাম্পাস, দেশের সর্ববৃহৎ উদ্ভিদ সংগ্রশালা, সিসি ক্যামেরায় বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার, অত্যাধুনিক ল্যাব ও সুসজ্জিত লাইব্রেরী, মনোমুগ্ধকর প্রশাসনিক বিল্ডিং, নান্দনিক মসজিদ, ৪টি হলের পাশাপাশি নতুন ২টি হলের কার্যক্রম শুরু, ২টি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধার্থে পর্যাপ্ত বাসের সুবিধা, প্রতিনিয়ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিক্ষা সম্পর্কিত নানা সেমিনারের অায়োজন, উন্নত ধরণের চিকিৎসা সেবা প্রভৃতি বশেমুরবিপ্রবিকে দান করেছে অারও এক নবতর মাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সার্বিক উন্নয়নকল্পে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বশেমৃরবপ্রবিকে মাথা তুলে দাঁড় করাতে শিক্ষকদেরও যেন অান্তরিকতার কোনো কমতি নেই। অার এ বিশ্ববিদ্যলয়ের বিভিন্ন কৃতি শিক্ষার্থীর নানা ক্ষেত্রে কৃতিত্বও দেশ ছাড়িয়ে এখন প্রবাসেও সর্বজনবিদিত।
//স
পছন্দের আরো পোস্ট