ড্যাফোডিলে ডিমেনসিয়া রোগের ওপর গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পাবলিক হেলথ বিভাগের আয়োজনে ‘রিসার্চ ফাইন্ডিংস অন ডিমেনসিয়া’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ৭১ মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. কে আজাদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। অ্যালাইড হেলথ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ ইসমাইল মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ মোহাম্মদ কেরামত আলী। এছাড়াও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন পাবলিক হেলথ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সালামত খন্দকার ও সহকারী অধ্যাপক ড. নাদিরা মেহরিবান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. কে আজাদ বলেন, বাংলাদেশে বয়ষ্কদের মধ্যে ডিমেনসিয়ার প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা জরুরি। সেজন্য ডিমেনসিয়া নিয়ে আরও বেশি বেশি গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। অধ্যাপক ড. এ. কে আজাদ বলেন, গবেষণার জন্য সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর এগিয়ে আসা উচিত। এসময় তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ দেন এরকম একটি গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য।

Post MIddle

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। এজন্য গবেষণার প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, আমাদের দেশে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া যায় না। এই ধারা ভাঙতে হবে এবং গবেষণা কর্মে আরো বেশী অর্থ বরাদ্ধ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য।

সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী অধ্যাপক ড. শাহ মোহাম্মদ কেরামত আলী বলেন, ডিমেনসিয়া নিয়ে এটি তাঁর দ্বিতীয় প্রবন্ধ। প্রথম গবেষণা প্রবন্ধে তিনি ডিমেনসিয়ার উৎপত্তি বিকাশসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান। দ্বিতীয় প্রবন্ধে ডিমেনসিয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. শাহ মোহাম্মদ কেরামত আলী। তিনি বলেন, ডিমেনসিয়ার ব্যাপারে এখনই সচেতন না হলে এ রোগের প্রার্দুভাব বাড়ইে থাকবে। এজন্য গবেষণার পাশাপশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পছন্দের আরো পোস্ট