পাবিপ্রবিতে জেল হত্যা দিবস পালন

আজ ৩ নভেম্বর, শোকাবহ জেল হত্যা দিবস। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর শোকে জাতি যখন মুহ্যমান, তখনই ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর সহচর জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করে ঘাতক চক্র। সেদিন কারাগারে হত্যার শিকার হন মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের চার সংগঠক।

প্রতিবছরের মতো আজ শুক্রবারও গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্মরণ করলো ৩ নভেম্বরের শহীদ চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অবঃ) এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে।

Post MIddle

শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরের শহীদবেদি ফুলে ফুলে ভরে উঠেছিল। সকালে প্রশাসন ভবন থেকে শোকর‌্যালি বের হয়। র‌্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন(অবঃ) এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানানো হয় উপাচার্য প্রফেসর ড. আল-নকীব চৌধুরীপক্ষ থেকে। শ্রদ্ধা জানান প্রো-উপাচার্য ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম মহোদয়। এরপর পুস্পস্তবক অর্পন করেন কোষাধ্যক্ষ মহোদয় ,শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট , বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিট, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী পরিষদ,আমরা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড।

পুস্পস্তবক শেষে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর আলোচনা সভায় উপাচার্য প্রফেসর ড. আল-নকীব চৌধুরী এক বার্তায় বলেন, বঙ্গবন্ধু মহান আদর্শের যে আলো জালিয়েছিলেন জাতীয় এই চার নেতা বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত কাছ থেকে সেই আলোয় আলোকিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে এই চার নেতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া আলো জাতির মাঝে ছড়িয়ে দিতেন। সেই আলো যাতে বাঙালির মাঝে জলতে না পারে সেই জন্য তাদেরকে হত্যা করা হয়। মূলত বাঙালির আলো নিভিয়ে দেয়ার জন্যই চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যই ছিল খুনিদের। জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। ভিসি মহোদয়, বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

প্রো-উপাচার্য মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম স্বাধীকার আন্দোলন ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে জাতীয় চারনেতার স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুবই বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ট ছিলেন এই চার নেতা। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে যাতে চার নেতা বাংলাদেশের হাল না ধরতে পারেন সে জন্যই তাদেরকে খুন করে স্বাধীনতা বিরোধীরা।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষক ইউনিটের আহবায়ক ড. মোঃ হাবিবুল্লাহর সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রক্টর আওয়াল কবির জয়, শেখ হাসিনা হলের প্রভোষ্ট ড. মীল খালেদ ইকবাল চৌধুরী, ছাত্র উপদেষ্টা হাসিবুর রহমান, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার বহ্ম,উপ-রেজিস্ট্রার কামরুল হাসান, উপ-গ্রন্থাগারিক হাফিজুর রহমান মোল্লা, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কর্মকর্তা ইউনিটের আহবায়ক ফারুক হোসেন চৌধুরী, যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি জিএম শামসাদ ফখরুল ও সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদ ডন, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি জামসেদ পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম প্রমুখ। শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

এছাড়া বাদ জুম্মায় বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় মসজিদে জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট