নতুন প্রযুক্তির সমারোহ এবারের উন্নয়ন মেলায়

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ( বিআইসিসি) পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন ( পিকেএসএফ) আয়োজিত উন্নয়ন মেলা-২০১৭ তে উদ্দোক্তারা কৃষি সহ অনন্য খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। গত রোববার ( ২৯ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া মেলা শুক্রবার ( ৩ নভেম্বর) পর্যন্ত চলবে। ছয়দিন ব্যাপি মেলায় মোট স্টল রয়েছে ১৩৩ টি, যার মধ্যে নয়টি সরকারি এবং পিকেএস এর পাঁচটি নিজস্ব স্টল রয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ( বারি) এবার , বারি মোবাইল অ্যাপ, সামুদ্রিক শৈবাল, বিটি বেগুনের হস্তান্তর করার পদ্ধতি, সবজি বিশেষ করে বারি সীম-১, বারি সীম-৪, বারি টমেটো- ২, বারি টমেটো-১৪ ছাড়াও তাদের উদ্ভাবিত নতুন জাত প্রদর্শনীর জন্য মেলায় নিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ( বিরি) তাদের স্টলে উচ্চ ফলনশীল ধান ব্রি ধান – ৮১ প্রদর্শনীর জন্য সাজিয়ে রেখেছে। ব্রি ধান- ৮১ হল ব্রি ধান- ২৮ এর হাইব্রিডাইজেশন, যেটি হেক্টর প্রতি ৬-৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে পারে, যেটিতে প্রোটিনের পরিমাণ ১০.৬ শতাংশ, ধানের আয়ুষ্কাল হল ১৪০-১৪৫ দিন।

এবারের মেলায় ব্যতিক্রমী একটি স্টল হল নারিকেল ভুবন, যেখানে সকল জিনিসই নারিকেলের কোন না কোন অংশের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। নারিকেলের ছোবরা দিয়ে সুতা, নারিকেলের খোসা দিয়ে বোতাম, নারিকেলের দুধ জাত দিয়ে নাটা ডি কোকো ডেজার্ট, নারিকেলের শাষ জাত দিয়ে বরফি প্রস্তুত করে স্টলে সাজিয়ে রাখতে দেখা যায়।

Post MIddle

দারিদ্র্য বিমোচন সংস্থা( ডিবিএস) মেহেরপুরের একটি উন্নয়ন সংস্থা, এবার স্টলে বিপন্ন প্রজাতির ২২ ছড়ি কলা গাছ নিয়ে এসেছে। এছাড়াও সংস্থাটি আরবরিকালচারের নতুন পদ্ধতি, শাকসবজিকে কিভাবে স্বল্প  সময়ে বিষমুক্ত করা যায় তার পদ্ধতি, বহুস্তরবিশিষ্ট মাঁচা, কালার ট্রাপ, সৈার বিকিরণ বর্ধক সিনটেটিক কাগজ তাদের স্টলে নিয়ে এসেছে।

সাজিদা ফাউন্ডেশন, একটি বেসরকারি এনজিও, যারা ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে গ্রাম্য অঞ্চলে কর্মঠ কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে থাকে, এ ফাউন্ডেশনটি তাদের কার্যক্রমের প্রতিচিত্র এবার মেলায় নিয়ে এসেছে।

ইপসা, সমাজের তরুণদের নিয়ে যাদের কাজ, তারা মেলায় এবার জাহাজ ভাঙা লোহা থেকে তৈরি বিভিন্ন তৈজসপত্র যেমন, বটি, দা এসকল পণ্য এবারের মেলায় নিয়ে এসেছে।

ডাটাসফ্ট, একটি স্বনামধন্য সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান, এবারের মেলায় তারা কৃষির সাথে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধন করার পদ্ধতি খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছে। তার মধ্যে রয়েছে স্মার্ট মুরগির খামার, স্মার্ট গ্রীন হাউস, স্মার্ট মৎস্য চাষাবাদ, প্রযুক্তি গুলো বাজারজাতকরণের জন্য স্টলে নিয়ে এসেছে। এ সকল চাষাবাদ সহজেই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে।

এছাড়াও ,কে খান গ্রুপ মেলায় পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ জাম্বো রিক্সা নিয়ে এসেছে, যেটি ঢাকা সিটি কর্রোপরেশন কতৃক অনুমোদিত। মেলাটি সকলের জন্য উন্মুক্ত, সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে প্রদর্শনী রাত ৮ টায় শেষ হয়।

 

পছন্দের আরো পোস্ট