চুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা শুরু

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১ স্নাতক (সম্মান) কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ (১ নভেম্বর) বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার), ২০১৭ খ্রি. চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে পৃথকভাবে প্রস্তুতি সভা ও মতবিনিময় করেছেন। এ সময় ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন দিকনির্দেশনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটি-২০১৭ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষা-২০১৭ এর সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, একটি সফল ও সুন্দর ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে চুয়েট প্রশাসন বদ্ধপরিকর। আমরা ইতোমধ্যে সরকারের সব ধরণের সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরণের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আশা করছি চুয়েট পরিবারের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টদের সকলের সহযোগিতা মাধ্যমে আমরা নিবিঘেœ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবো।

Post MIddle

উল্লেখ্য যে, এবার ১০টি বিভাগের ৭০০ আসনের বিপরীতে দুই গ্রুপে মোট ৮ হাজার ৫৩৩ জন যোগ্য প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য ০১টি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য জেলার উপজাতীয়দের জন্য ১০টি সহ অতিরিক্ত মোট ১১টি আসন সংরক্ষিত আছে। অর্থাৎ নিয়মিত ৭০০ আসনের সাথে ১১ টি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট আসন সংখ্যা ৭১১ টি। এবার ‘ক’ গ্রুপের জন্য মোট ৭ হাজার ৯০৬ জন এবং ‘খ’ গ্রুপের জন্য মোট ৬২৭ জন আবেদনকারী যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়।

চুয়েটে লিখিত পরীক্ষা ও মুক্তহস্ত অংকন দুই পর্বে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রথম পর্বে ‘ক’ এবং ‘খ’ উভয় গ্রুপের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে সকাল ১০.০০ ঘটিকা হতে বেলা ১.০০ ঘটিকা পর্যন্ত মোট ৩ ঘণ্টাব্যাপী লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শুধুমাত্র ‘খ’ গ্রুপের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বিকাল ২.৩০ ঘটিকা হতে ৪.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত মোট ২ ঘণ্টাব্যাপী মুক্তহস্ত অংকন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রসঙ্গত, ইঞ্জিনিয়ার বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ নিয়ে ‘ক’ গ্রুপ। অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ নিয়ে ‘খ’ গ্রুপ।

ভর্তির জন্য নির্ধারিত বিভাগ ও আসন সংখ্যা ঃ
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগ-১৩০টি আসন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) বিভাগ-১৩০টি আসন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ-১৩০টি আসন, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ-১৩০টি আসন, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগ-৩০ টি আসন, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগ-৩০ টি আসন, সিভিল এন্ড ওয়াটার রিসোর্সেস (সিডব্লিউআরই) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ-৩০ টি আসন, মেকাট্রনিক্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল (এমআইই) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ-৩০ টি আসন, আর্কিটেকচার বিভাগ-৩০ টি আসন এবং আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগ-৩০ টি আসন। অর্থাৎ ১০টি বিষয়ে সর্বমোট ৭০০টি আসন। এছাড়া রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য ১টি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য জেলার উপজাতীয়দের জন্য ১০টি সহ অতিরিক্ত মোট ১১টি আসন সংরক্ষিত আছে।

পছন্দের আরো পোস্ট