চবির সাথে ইসাবেলা ও নদী পরিব্রাজক -এর সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন

প্রকৃতি, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব বৈচিত্র্য, বিশেষত পাহাড়, মিশ্র চিরসবুজ বনাঞ্চল, নদী ও জলাশয়, উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থানের বিষেয়ে যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কাজে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসাবেলা ফাউন্ডেশন পরস্পরকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ইসাবেলা ফাউন্ডেশন এবং নদী রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি বিষয়ে নদী পরিব্রাজক দল-এর সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক পৃথক সমঝোতা চুক্তি (গবসড়ৎধহফঁস ড়ভ টহফবৎংঃধহফরহম) উপলক্ষে এক সভা ২৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখ বিকেল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার উপস্থিত ছিলেন। এ সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের পক্ষে উক্ত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মহাপরিচালক (প্রশাসন) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং প্রকল্প পরিচালক এটুআই প্রোগ্রাম ও চ.বি. সিনেট সদস্য জনাব কবির বিন আনোয়ার ও নদী পরিব্রাজক দলের পক্ষে নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি জনাব মো. মনির হোসেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হুদা স্বাক্ষর করেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে চ.বি. প্রাণি বিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ও হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া, প্রাণি বিদ্যা বিভাগের সভাপতি প প্রফেসর ড. গাজী সৈয়দ মোহাম্মদ আসমত, প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. চৌধুরী মোহাম্মদ মনিরুল হাসান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি জনাব লাইলুন নাহার, ফলিত ও পরিবেশ রসায়ন বিভাগের সভাপতি জনাব মো. নজরুল ইসলাম এবং ইসাবেলা ফাউন্ডেশন ও নদী পরিব্রাজক দলের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Post MIddle

উপাচার্য তাঁর ভাষণে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষা এবং সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়নে নদী, পাহাড় ও প্রকৃতির রয়েছে অসামান্য অবদান। এ প্রেক্ষাপটে দেশের নদীসমূহ সুরক্ষা করতে হবে এবং নদী সুরক্ষায় টেকসই ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, বীর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে হালদা নদী এ জনপদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নদী। দেশের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননের প্রাণকেন্দ্র এ নদীর গুরুত্ব আলোকপাত করে উপাচার্য বলেন, এ নদীর সার্বিক পরিবেশ সুরক্ষা, টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ এবং মৎস্য প্রজননের উন্নত সমৃদ্ধ পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণি বিদ্যা বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি। এ ল্যাবরেটরিকে অধিকতর উন্নত সমৃদ্ধ করতেই ইসাবেলা ফাউন্ডেশন এবং নদী পরিব্রাজক দল আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে এসেছে এবং আজকের এ সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হলো। উপাচার্য সার্বিক অর্থে এর সুযোগ-সুবিধা যথার্থভাবে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

পছন্দের আরো পোস্ট