জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তি

আজ (২৫শে অক্টোবর) বুধবার সকাল ১১ টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তিতে ‘রজতজয়ন্তী’ পালন কর্মসূচির প্রথম দিন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ এর সভাপতিত্বে গাজীপুর ক্যাম্পাসে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, এডভোকেট রহমত আলী এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি এমপি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি আ. ক. ম.মোজাম্মেল হক এমপি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও ভাইস-চ্যান্সেলর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ রজতজয়ন্তী শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও আইইউটি মূল ফটক হয়ে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।

Post MIddle

এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ডক্যুমেন্টারি প্রদর্শন, উদ্বোধনী দিবসের আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়।

স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মমিন চৌধুরী এবং প্রাক্তন প্রো-উপাচার্য ও বর্তমানে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি)-র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূরসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

প্রধান অতিথি তাঁর ভাষণে বলেন, “রজতজয়ন্তীর এই আনন্দঘন মুহুর্তে আমি এ বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সঙ্গে অধিভুক্ত সকল কলেজ ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি জেনে অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষলক্ষ শিক্ষার্থী যাতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্ব, তাঁর নীতি ও ত্যাগের মহান আদর্শ সম্বন্ধে সঠিকভাবে জেনে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতে পারে, সে লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সাল থেকে কলা, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা নির্বিশেষে সকল ধারার শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ শীর্ষক একটি পূর্ণ কোর্স অবশ্যপাঠ্য করেছে।

আমি জেনে আরও খুশি হয়েছি যে, ঢাকার ধানমন্ডিস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ক্যাম্পাসে খুব শীঘ্রই ‘মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট’ এর কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে।”

অনুষ্ঠানের সভাপতি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আমি এর সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমুহের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবক ও গভর্নিং বডির সদস্যসহ গোটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।”

পছন্দের আরো পোস্ট