ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ড্যাফোডিলের ডকুমেন্টারি ‘অচ্ছুৎ’

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া আয়োজিত ‘শান্তির স্বপক্ষে আমরা’ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রতিযোগিতা করছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডকুমেন্টারি ‘অচ্ছুৎ’। ডকুমেন্টারিটি তৈরি করেছে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

১২ মিনিটের এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটিতে তুলে ধরা হয়েছে আমাদের সবচেয়ে গৌরবের ইতিহাস ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া হরিজন সম্প্রদায়ের কথা। তাঁদের অনেকেই শহীদ হয়েছিলেন, কিন্তু এই যোদ্ধারা হরিজন সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার কারণে আজও তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত। যেনো তারা অচ্ছুৎ, অস্পৃশ্য।

প্রমান্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী মো: সাইদুর রহমান খান এবং প্রজেক্ট মেন্টর ছিলেন সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের প্রভাষক আফতাব হোসেন।

Post MIddle

গতকাল (২৪ অক্টোবর ২০১৭) মঙ্গলবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে এ ডকুমেন্টারিটির প্রদর্শনী এবং এর উপর এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিতহয়।

আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এর বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ জুলহাস আলম, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ শফিউল ইসলাম, বাংলাদেশ হরিজন সেবক সমিতির সভাপতি গগণ দাস, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। ডকুমেন্টারি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের প্রভাষক আফতাব হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের দেশর সবচেয়ে উপেক্ষিৎ ও ঘৃনিত মানুষ হচ্ছে এ হরিজন সম্প্রদায় সবাই যাদেরকে এড়িয়ে চলে। খুব কম মানুষই আছে যে না আমরা একত্রে বসতে পারি বা পাশাপাশি বসলেও আপত্তি নেই। আমাদের এ মনমানসিকতা দূর করতে হবে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের যে গৌরবগাঁথা “ অচ্ছুৎ” ছবিতে ফুটে উঠেছে তার স্বীকৃতির জন্য সরকারী পর্যায়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ছবিটিকে আরো কিভাবে সমৃদ্ধ করা য়ায় এবং কেবল জাতীয় নয় আন্তর্জাতিকভাবে ও যাতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ ‘অচ্ছুৎ’ এবং আমাদের সাধারণ গণমানুষের কি ভূমিকা ছিল তা তুলে ধরা এবং স্বীকৃতি আদায়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করবে।

পছন্দের আরো পোস্ট