ড্যাফোডিলে শিক্ষার্থীদের সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার

শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা তৈরি ও নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ উন্নয়নের লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘শিক্ষার্থীদের সামাজিক সচেতনতা ও নৈতিক উন্নয়ন’ শীর্ষক এক সেমিনার গতকাল (২৩ অক্টোবর ২০১৭) সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রন্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) চেয়ারপার্সন ও সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌন নির্যাতন নিরোধ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম মওলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মোঃ হামিদুল হক খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. প্রৌকশলী এ কে এম ফজলুল হক, স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান, যৌন নির্যাতন নিরোধ কমিটির সদস্য ইরিনা ইশরাত প্রমূখ।

Post MIddle

প্রধান বক্তার বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতা অর্জনের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আমরা সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। এজন্য আত্ম-অনুসন্ধান জরুরি বলে মনে করেন সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাই সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে। আর এই ধারনা স্পষ্ট হবে মূলত আত্ম-অনুসন্ধানের মাধ্যমে।

বাংলাদেশে নারীদের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশের নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় সাফল্য দেখাচ্ছেন। আমাদের নারীদের অগ্রগতি এখন সারা পৃথিবীতেই আলোচিত হয়। পাশাপাশি নারী নির্যাতনে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে এ বিষয়টিও আলোচিত হয়। তিনি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, এ দেশে ৮৭ শতাংশ নারী এখনো পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সামাজিক সচেতনতা জরুরি এবং প্রয়োজন নৈতিক উন্নয়নের, মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।

সেমিনারে নারী পুরুষের সমতা, সামাজিত সচেতনতা, নৈতিক মূল্যবোধ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার ও ট্রেজারার মোঃ হামিদুল হক খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইরিনা ইশরাত এবং ধন্যবাদসূচক বক্তব্য প্রদান করেন অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম মওলা চৌধুরী। সেমিনারটি শেষ হয় শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন-উত্তর পর্বের মাধ্যমে।

পছন্দের আরো পোস্ট