এমবিবিএস বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় আদ্-দ্বীন-আকিজ মেডিকেল কলেজ শীর্ষে

বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন প্রথম বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম বছরেই শীর্ষস্থান দখল করেছে খুলনা আদ-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ। দেশের ২২টি সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গত মে মাসে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে খুলনা আদ্-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ পাশের দিক দিয়ে শীর্ষস্থান দখল করে। একই সাথে এ কলেজের এনাটমী বিভাগের একজন নূরে জান্নাত সেতু অনার্স মার্কস (৮৫ শতাংশ) পেয়েছেন।

চলতি বছর মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম বৃত্তিমূলক এমবিবিএস পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, খুলনা আদ্-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজের ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করে শীর্ষস্থান দখল করেছে।

এবারের পরীক্ষায় মোট নয়জন অনার্স মার্কস পেয়েছেন। এই নয়জনের মধ্যে আদ্-দ্বীন-আকিজ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী নূরে জান্নাত সেতুও রয়েছেন।

Post MIddle

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: পরিতোষ কুমার রায় বলেন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে আদ্-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু। এরপরেও দুবছর আগে থেকে নগরীর বৈকালিতে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি খুলনার মধ্যে একটি মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইতোমধ্যে সবার আস্থা অর্জন করেছে। ভবিষ্যতে এ সাফল্য ধরে রাখতে ৭০ জন শিক্ষক শিক্ষিকাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মো: আশফাকুর রহমান বলেন, এই সাফল্যের প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের কলেজের নিয়মানুবর্তিতা ও শৃংখলা। সেই সঙ্গে প্রতিটি বিভাগে পূর্ণকালিন দুজন প্রফেসর রয়েছেন। এখানে কোনো রাজনীতি নেই। পড়াশুনা সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে।

জানা গেছে, অনার্স মার্কস সেতুর পিতা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। তিনি এসএসসি ও এইচএসসিতে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। যশোরের চৌগাছা উপজেলার ঝিনাইকুন্ডু গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে সেতু এক ভাই এক বোনের মধ্যে বড়। ২০১৩ সালে সখিনা গালর্স স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০১৫ সালে আল হেরা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর আদ্-দ্বীন-আকিজ মেডিকেল কলেজে দরিদ্র ও মেধাবি কোঠায় ভর্তির সুযোগ পান।

সেতু একজন গাইনোকোলজি বিশেষজ্ঞ হতে চান। তার এ সাফল্যের পেছনে এনাটমী বিভাগের প্রধান ডা: আশফাকুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকদের অবদান রয়েছে বলে তিনি জানান। ##

পছন্দের আরো পোস্ট