উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে ডুকতে দেয়া হবে না:কুবি শিক্ষক সমিতি

‘উপাচার্য দূর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত, বাকি আরও দেড় মাস সময়ে তিনি আরও দূর্নীতি করবেন, আমরা আর অন্যায় সহ্য করতে পারছি না, আমাদের পীঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, তার স্বেচ্ছাচারী মনোভাব আর মেনে নেয়া যায় না, উপাচার্যকে আর ক্যাম্পাসে ডুকতে দেয়া হবে না, তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে, প্রতিরোধের জন্য আমরা প্রস্তুত, বাংলোতে দাপ্তরিক কাজ করলে সেখানেও করতে দেয়া হবে না’ সোমবার দুপুর সাড়ে বারটায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন। দূর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা সরকারি অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে ফেরত দেয়া, অন্যান্য অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিপীড়ন মূলক কার্যক্রমের সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে তারা এ মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ আবু তাদের, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

মানববন্ধন শুরুর আগে সকাল থেকেই শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তাদের দাবি উপাচার্য মেনে না নিলে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচী চলতে থাকবে বলে জানান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান। এই আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ আরও ঘোলাটে হচ্ছে। যদি শিক্ষক সমিতি আরও কঠোর হয় তাহলে ক্লাসও পরীক্ষা বন্ধ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

যদিও শিক্ষক সমিতি দাবি করছে ক্লাসের ফাঁকে তারা অবস্থান ও মানববন্ধন করছে। কিন্তুু আন্দোলন আর ক্লাস এক সাথে হলে কতটুকু ক্লাস হচ্ছে তা ভাবার বিষয় বলে মন্তব্য করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছক এক শিক্ষার্থী।

Post MIddle

এর আগে রোববর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদারের কাছে ১৪ দফা দাবি সম্বলিত একটি লিখিত দেয় শিক্ষক সমিতি। তাদের দাবির মধ্যে উপাচার্যকে দেওয়া বাড়তি ভাতা বিশ্ববিদ্যালয় কোষাগারে ফেরত, প্রক্টরের পদত্যাগ, অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের দূর্নীতির বিচার, সন্ধ্যাকালীন এমবিএ কোর্সের টাকা ফেরত, ছাত্র হত্যার বিচার, সাক্ষর জালিয়াতি করে বন্যাদুর্গতদের জন্য শিক্ষকদের এক দিনের বেতন ভাতা প্রদান কারীর শাস্তি, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা, নি¤œমানের আসবাবপত্র ক্রয়ের সাথে জড়িতদের শাস্তি প্রদানসহ ১৪ দফা দাবি দেন।

শিক্ষক সমিতির সমিতির সভাপতি ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ‘উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতা এখন সিমা ছাড়িয়েছে। তিনি বিভিন্ন অনিয়মের জন্ম দিয়েছেন। চাকরির জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অগ্রীম টাকাও নিয়েছেন বলে আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। তাই আমরা তাকে ক্যাম্পাসে এসে দপ্তরে যেতে দেবো না। এই জন্যই আমরা কর্মসূচি দিয়েছি।’

উপাচার্য প্রফেসর ড. আলী আশরাফ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলে শিক্ষক নেতারা আন্দোলন করছেন, তা কতোটুকু যৌক্তিক তারাই সেটা জানেন। আমি সান্ধ্যকালীন কোর্সে পড়িয়ে টাকা নেই এটা তো অন্য শিক্ষকরাও নেন। এখন যে সকল শিক্ষকরা আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনে আন্দোলন করছেন, তারাই এক সময় আমার পাশে থেকে প্রসংশা করেছেন। তাহলে এখন কেনো এমন করছেন।

কোন কমিটিতে থেকে কাজ করলে তার একটা ভাতাতো থাকেই। তবে এটা যদি অবৈধ হয়, সরকার চাইলে আমি তা ফেরত দেবো। এর জন্য ইউজিসি রয়েছে, সরকার রয়েছে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।

পছন্দের আরো পোস্ট