ইবির চতুর্থ সমাবর্তন উপলক্ষে স্টিয়ারিং কমিটি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ সমাবর্তন উপলক্ষে সোমবার স্টিয়ারিং কমিটি ও স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক গঠিত ২৩টি উপ-কমিটির সভা স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী’র সভাপতিত্বে প্রশাসন ভবনের তৃতীয়তলার কনফারেন্সরুমে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় চতুর্থ সমাবর্তন সুষ্ঠু, সুন্দর, আনন্দঘন পরিবেশে করবার জন্য গঠিত ২৩টি উপ-কমিটির সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব পেশ করা হয়। এবার চতুর্থ সমাবর্তন উপলক্ষে  দুই কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে বলে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী সভায় জানান।

তিনি বলেন চতুর্থ সমাবর্তন সফল, সার্থকভাবে শেষ করবার জন্য শুধুমাত্র গঠিত কমিটির সদস্যরা নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। কারন সমাবর্তন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সবোর্চ্চ অনুষ্ঠান যেখানে রাষ্ট্রের প্রধান অভিভাবক উপস্থিত থাকেন।

তিনি সফল সমাবর্তন  আয়োজনের জন্য দল মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। সমাবর্তন উপলক্ষে এবার প্রদেয় প্রায় ২০ হাজার সার্টিফিকেট স্বাক্ষরের জন্য এবারই প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী সার্টিফিকেট স্বাক্ষরের জন্য কোন রকম সম্মানী গ্রহন করবে না বলে সভায় ঘোষনা দেন। এতে করে সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ তাঁর এই উদ্দ্যোগের সাধুবাদ জানান।

Post MIddle

এছাড়া সভায় বিভিন্ন দিকনির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান। পরে ২৩টি উপ-কমিটি আহবায়ক ও সদস্য-সচিব তাদের সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব সভায় পেশ করেন এবং পুঙ্খানুপঙ্খ পর্যালোচনার পর ব্যয়ের খাত সম্ভাব্য অনুমোদন করা হয়।

স্টিয়ারিং কমিটি ও স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক গঠিত উপ-কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি, রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ, ২৩ উপ-কমিটির আহবায়ক ও সদস্য-সচিববৃন্দ। উল্লেখ্য যে আগামী বছর জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত সেপ্টেস্বর মাসে  উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা ও রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর ও বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তনের অনুমতি ও সময় নির্ধারণ করেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮০ অনুচ্ছেদ ৮(১) অনুযায়ী ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর থাকিবেন এবং উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানসমূহে একাডেমিক ও সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রদানের জন্য সভাপতিত্ব করবেন।

এবারের সমাবর্তন থেকে মোট ৩৮ হাজার ৪’শ নব্বই জন গ্রাজুয়েট তাদের সনদপত্র গ্রহণ করবেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ২য় ও ২০০২ সালের ২৮ মার্চ তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট